যাঁদের পথ ধরতে পারেন জিদান-কোমান
কোচদের কাজটাই এমন। অনিশ্চিত। কখন যে কপালে কী লেখা থাকে, বলা যায় না। আজ দলের ফর্ম ভালো তো তাঁদের নিয়ে মাতামাতি, কিন্তু দলের ফর্ম পড়লেই চাকরি নিয়ে পড়ে যায় টানাটানি। একেবারে অনিশ্চিত এ চাকরি। প্রচণ্ড চাপ। অনেকে এ চাপ সহ্য করতে পারেন, অনেকে পারেন না। অনেকে চাপ নিতে ব্যর্থ হলে ছাঁটাই হন, আবার অনেকে অনেক দিন ধরে দায়িত্বে থাকার পর একটু অবসর খোঁজেন। থাকতে চান নির্ভার, তাই নিজের ইচ্ছাতেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে যান লোকচক্ষুর অন্তরালে।
সদ্য শেষ হওয়া ইউরোপিয়ান ফুটবল মৌসুমেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বেশ কিছু কোচ এর মধ্যেই চাপ সামলাতে না পেরে দায়িত্ব ছেড়েছেন। কেউ কেউ হয়েছেন ছাঁটাই। এ তালিকায় হয়তো কিছুদিন পর রিয়াল মাদ্রিদের জিনেদিন জিদান ও বার্সেলোনার রোনাল্ড কোমানও নাম লেখাতে পারেন। যদিও এখনো তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু শোনা যায়নি। তাঁদের ব্যাপারে কিছু না শোনা গেলেও বেশ কিছু কোচের ভাগ্য এ মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। গত রাতেই যেমন নিশ্চিত হয়েছে, নাপোলির কোচের পদ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে সাবেক ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জেনারো গাত্তুসোকে।
গাত্তুসোর সঙ্গে এ মৌসুমে শীর্ষ পাঁচ ইউরোপীয় লিগে কে কে দায়িত্ব ছেড়েছেন বা চাকরি হারিয়েছেন? দেখা যাক এক নজরে—
জোসে মরিনিও (টটেনহাম)
নুনো এস্পিরিতো সান্তো (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স)
ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড (চেলসি)
রয় হজসন (ক্রিস্টাল প্যালেস)
ক্রিস ওয়াইল্ডার (শেফিল্ড ইউনাইটেড)
স্লাভেন বিলিচ (ওয়েস্ট ব্রম)
অস্কার গার্সিয়া (সেলতা ভিগো)
হাভি গ্রাসিয়া (ভ্যালেন্সিয়া)
পাবলো মাচিন (আলাভেস)
গাইজকা গারিতানো (অ্যাথলেটিক বিলবাও)
হোর্হে আলমিরন (এলচে)
মিচেল (উয়েস্কা)
আবেলার্দো ফের্নান্দেস (আলাভেস)
জিউসেপ্পে ইয়াচিনি (ফিওরেন্তিনা)
রোলান্দো মারান (জেনোয়া)
ফাবিও লিভেরানি (পারমা)
মার্কো জাম্পাওলো (তোরিনো)
ইউসেবিও দি ফ্রান্সেসকো (কালিয়ারি)
জিউভান্নি স্ত্রোপা (ক্রোতোন)
সেজারে প্রানদেল্লি (ফিওরেন্তিনা)
পাওলো ফনসেকা (রোমা)
রবের্তো দে জেরবি (সাসসুয়োলো)
পাত্রিক ভিয়েরা (নিস)
টমাস টুখেল (পিএসজি)
আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াস (অলিম্পিক মার্শেই)
রেমন্দ দমেনখ (নতেঁ)
রুদি গার্সিয়া (অলিম্পিক লিওঁ)
ক্রিস্তফ গালতিয়ার (লিল)
ডেভিড ওয়াগনার (শালকে ০৪)
লুসিয়েন ফাভরা (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড)
পিটার বশচ (বায়ার লেভারকুসেন)
ব্রুনো লাবাদিয়া (হার্থা বার্লিন)