যে লড়াইয়ে মেসি-নেইমারের সঙ্গে অখ্যাত ফাইজও

নিজের দেশের বাইরের খুব কম লোকই তাঁকে চেনে। কিন্তু এমনও হতে পারে, মালয়েশিয়ার সেই ফাইজ সুব্রি হারিয়ে দিলেন লিওনেল মেসি বা নেইমারকে। সেটিও ফুটবলেরই এক লড়াইয়ে, সেরা গোলে! বর্ষসেরা গোল ফিফা পুসকাস পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছে তাঁর একটি ফ্রি কিক গোল।
সুন্দর গোল তো আর তারকা বুঝে হয় না। কখনো কখনো অখ্যাত কোনো ফুটবলারও অবিশ্বাস্য সুন্দর গোল করে বসেন। হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তি পুসকাসের স্মরণে ফিফার ঘোষিত এই পুরস্কারে তাই অনেক সময় দেখা যায়, অচেনা কেউ হারিয়ে দিচ্ছেন বিখ্যাত তারকাকে। গতবার যেমন মেসির দারুণ সুন্দর একটি গোল হেরে গেছে ব্রাজিলের ওয়েন্ডেল লিরার কাছে।
ফাইজের গোলটি আসলেই এত সুন্দর, বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে, মেসি-নেইমার পুসকাস অ্যাওয়ার্ডে হেরে যাবেন তাঁর কাছে। মালয়েশিয়ান সুপার লিগের ম্যাচে গত ফেব্রুয়ারিতে পেনাংয়ের হয়ে পাহাং এফসির বিপক্ষে অবিশ্বাস্য সেই ফ্রি কিক গোলটি করেছিলেন। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ২০ গজ বাইরে বাঁকানো ফ্রি কিকটি নেন। প্রথমে বাঁয়ে বাঁক খেয়ে তারপর ডানে বাঁক নেয় বলটি। ঢুকে যায় জালে।

যে গোলটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে রবার্তো কার্লোসের সেই বিখ্যাত ব্যানানা কিকটিকে। ‘রবার্তো কার্লোসের সঙ্গে কোনো একটা জায়গায় আমারও নাম উচ্চারিত হচ্ছে, এ তো অনেক বড় সম্মানের’—মালয়েশিয়ার একটি দৈনিককে বলেছিলেন ফাইজ।
গত কোপা আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মেসির ফ্রি কিক গোল আর বার্সেলোনার হয়ে করা নেইমারের একটি ওভার হেড কিক গোলও পেয়েছে মনোনয়ন। তবে সৌন্দর্যে ফাইজের গোলটিই এগিয়ে আছে। আর পুসকাস পুরস্কারটি দেওয়াই হয় বছরের সবচেয়ে সুন্দর গোলটিকে।
একে তো খেলেন এমন এক দেশের লিগে, ফুটবল মানচিত্রে অনেক পিছিয়ে থাকা এক দেশ। সেখান থেকে পুসকাস অ্যাওয়ার্ডে নেইমার-মেসিদের সঙ্গে মনোনয়ন পাওয়াটাই তাঁর জন্য বিরাট এক পুরস্কার। সিএনএনকে সেই কথা বলেছেনও, ‘কখনোই আশা করিনি পুসকাস পুরস্কারে মনোনয়ন পাব।’ এই একটা গোল তাঁর জীবন কতটাই না বদলে দিয়েছে!
পেনাং সরকার তাঁকে ১০ হাজার রিংগিত পুরস্কার দিয়েছে তাঁর জার্সি, জামা, জুতোর স্মারক ব্যবহার করে আরও এক লাখ রিংগিত তুলেছে রাজ্য ফুটবল সংস্থা। এর ওপর পুরস্কারটি যদি পেয়েই যান, সেটিও হবে বিরাট পাওয়া। আগামী ৯ জানুয়ারি জুরিখে ঝলমলে অনুষ্ঠানে দেওয়া হবে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার।
গোলটি দেখুন: