রিয়াল ম্যাচের আগে গার্দিওলার চিন্তা রাইটব্যাক নিয়ে

পেপ গার্দিওলার চিন্তা বাড়াচ্ছে চোটসমস্যাছবি : রয়টার্স

মালিকানা বদলের পর সম্ভাব্য প্রায় সবকিছু জেতা ম্যানচেস্টার সিটির অপ্রাপ্তি—চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার ছোঁয়া না পাওয়া। গতবার চেলসির কাছে ফাইনালে হেরে যাওয়া সিটি এবারও আশায় বুক বেঁধেছে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের জন্য।

কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ করার জন্য সেমিফাইনালে সিটিকে পেরোতে হবে রিয়াল মাদ্রিদ নামের এক পাহাড়সম বাধা। আর ইউরোপে রিয়াল মাদ্রিদের পরাক্রম নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। যে দল চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেই ১৩ বার, তাঁদের ঐতিহ্য ও শক্তিমত্তা নিয়ে কী–ই বা বলার থাকতে পারে!

বেনজেমাকে ঠেকাবেন কে?
ছবি: রয়টার্স

রিয়াল এই মৌসুমে খেলছেও দুর্দান্ত, আছে দারুণ ছন্দে। লা লিগা প্রায় পকেটে পুরেই ফেলেছে, করিম বেনজেমা-ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা স্বপ্ন দেখেছেন লিগ শিরোপার পাশাপাশি ১৪তম বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিটা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিয়ে যাওয়ার। শেষ চারে দুই লেগের প্রথমটি আজ সিটির মাঠে। তবে বেনজেমা-ভিনিসিয়ুসদের ঠেকানোর জন্য কৌশল আঁটতে গিয়ে গার্দিওলা নিজেই চিন্তায় পড়ে যাচ্ছেন। রক্ষণভাগের একদম ডানদিক, অর্থাৎ রাইটব্যাকে কে খেলবেন, সেটা নিয়ে গার্দিওলা নিজেই নিশ্চিত নন!

আরও পড়ুন

এমনিতে সিটি স্কোয়াডে রাইটব্যাক আছেন দুজন। জোয়াও কানসেলো ও কাইল ওয়াকার। তবে কানসেলোকে বাঁ দিকে খেলাতেই বেশি আগ্রহী গার্দিওলা। ডানদিকে খেলেন ওয়াকার। ফলে দুজনকেই নিয়মিত খেলতে হয়। ওয়াকারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো রাইটব্যাক দলে টানেনি সিটি। সেন্টারব্যাক জন স্টোনস কখনো কখনো কাজ চালানো রাইটব্যাকের ভূমিকা পালন করতে পারেন যদিও। কিন্তু চিন্তার ব্যাপার হলো—ওয়াকার, কানসেলো, স্টোনস; তিনজনই হয় কার্ড নিষেধাজ্ঞা, বা চোট সমস্যায় ভুগছেন।

খেলতে পারছেন না জোয়াও কানসেলো
ছবি : রয়টার্স

রিয়ালের বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ কানসেলো যে খেলতে পারবেন না, এটা নিশ্চিত। পর্তুগিজ ফুলব্যাক এর মধ্যেই চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনবার হলুদ কার্ড দেখেছেন, সর্বশেষটা এসেছে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে আগের রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে। ফলে নিশ্চিত হয়েছে, বাড়তি হলুদ কার্ড দেখার কারণে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ খেলা হবে না কানসেলোর।

আরও পড়ুন

ওয়াকার আর স্টোনস ভুগছেন চোটে। আতলেতিকোর বিপক্ষে ওই ম্যাচেই গোড়ালির চোটে পড়েন ওয়াকার। তাঁর জায়গায় নামান হয় ডাচ ডিফেন্ডার নাথান আকেকে। ব্রাইটনের বিপক্ষে লিগের ম্যাচে পেশির চোটে পড়েছিলেন স্টোনস, যে কারণে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে দেখা যায়নি তাঁকে।

কেভিন ডি ব্রুইনাই তুরুপের তাস
ছবি : রয়টার্স

ফলে রিয়ালের আক্রমণভাগের বাঁ দিকে থাকা ভিনিসিয়ুসকে সিটির হয়ে কে আটকানোর দায়িত্ব পাবেন, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলা নিজেই স্বীকার করেছেন, ওয়াকার-স্টোনসদের কেউ সেভাবে অনুশীলনও করছেন না, ‘ওরা খেলবে কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। ওরা গত সপ্তাহ, দশ দিন অনুশীলন করছে না। জন (স্টোনস) ব্রাইটন ম্যাচের পর থেকেই অনুশীলনে নেই। দেখি ওদের অবস্থা কী হয়, এরপর কাল একটা সিদ্ধান্ত নেব। বিকেল চারটায় একটা অনুশীলন সেশন আছে, সেখানে দেখব কী করা যায়।’

আরও পড়ুন

সিটির একাদশে অনিশ্চয়তা এই এক পজিশন নিয়েই। গোলবারের নিচে যথারীতি এদেরসন মোরায়েস, সামনে সেন্টারব্যাক হিসেবে আয়মেরিক লাপোর্ত ও রুবেন দিয়াস, লেফটব্যাকে কানসেলো না থাকায় খেলবেন আলেকসান্দর জিনচেঙ্কো। মাঝমাঠে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিকে মাঝে রেখে দুপাশে ইলকায় গুনদোয়ান ও কেভিন ডি ব্রুইনা। ফরোয়ার্ড লাইনে ফিল ফোডেন, রিয়াদ মাহরেজ ও বের্নার্দো সিলভার খেলার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।