![পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সেও খেলে যাচ্ছেন মোহাম্মদ আলী। গতকাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে তোলা ছবি l প্রথম আলো](https://images.prothomalo.com/prothomalo%2Fimport%2Fmedia%2F2017%2F03%2F24%2Fc5d7708605b7e204d0be2c3c0c2f3e49-58d42347d72bb.jpg?auto=format%2Ccompress)
ঢাকার ফুটবলে সবচেয়ে বেশি বয়সে খেলার রেকর্ডটা এত দিন কার ছিল? সাবেক ফুটবলারদের মুখে জহিরুল হকের নামটাই সবার আগে আসে। অমলেশ সেন, ওয়াজেদ গাজী, সিনিয়র নাজির, গোলরক্ষক শহিদুর রহমান সান্টু, শামসুল ইসলামরাও খেলেছেন দীর্ঘদিন। শেখ মোহাম্মদ আসলামও অনেক দিন কাটিয়েছেন মাঠে। তবে হাসানুজ্জামান বাবলুর মতে, ‘এঁরা কেউ ৩৮-৪০ বছরের বেশি বয়সে খেলেছেন বলে মনে হয় না।’ গোলাম সারোয়ার টিপুরও একই কথা। জহিরুল হক নিজেই তো বলছেন, ‘পঞ্চাশের মাঝপথ থেকে সত্তরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমি ৩৮, ৩৯ বা বড়জোর ৪০ বছর পর্যন্ত খেলেছি।’
ঢাকার ফুটবলে ২০ বছরের বেশি খেলার অভিজ্ঞতা আছে আলফাজ, রজনী, হাসান আল মামুনদের। তবে মোহাম্মদ আলীর মতো কেউ ৪৫ বছর পর্যন্ত খেলেননি, এ নিয়ে সবাই নিঃসংশয়। টিপু তো আলীর কথা শুনে বিস্ময়ই প্রকাশ করলেন, ‘৪০ বছর পর্যন্ত খেলাটাই বিরাট ব্যাপার। সেখানে ৪৫! ভাবাই যায় না! তা-ও আবার পাড়ার ফুটবল নয়, প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল।’ বাবলুও আলীকে মানছেন উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বলে, ‘ও হলো গড গিফটেড, সত্যিকার ব্যতিক্রম।’ সত্যিই তা-ই। নিজেকে ফিট রেখে ৪৫ বছর বয়সেও ফুটবল খেলে যাওয়া তো ব্যতিক্রমই।