২০১১ সালে আন্ডারলেখট থেকে এই চেলসিতে যোগ দিয়েই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। রোমেলু লুকাকু সেখান থেকে পরে ধারে খেলতে গেছেন ওয়েস্ট ব্রম ও এভারটনে। এরপর এভারটনের সঙ্গে পাকাপাকি চুক্তিও করেছিলেন। সেখান থেকে আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ওয়েস্ট ব্রম, এভারটন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ১১৩ গোল ছিল তাঁর, কিন্তু যে ক্লাবের হয়ে ইংল্যান্ডে আসা, সেই চেলসির হয়ে এর আগে দুই মৌসুমে ১০ ম্যাচ খেললেও কখনো গোল করতে পারেননি বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। গত মৌসুমে ইন্টার মিলানের জার্সিতে ইতালি মাতানো লুকাকুকে এই মৌসুমে আবার ১১ কোটি ৫০ লাখ ইউরোতে ‘ঘরে’ ফিরিয়েছে চেলসি। আজ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের বিপক্ষে চেলসিতে পুনরাভিষেক হয়েও গেল লুকাকুর, এসে গেল চেলসির জার্সিতে প্রথম গোলও!

চেলসির হয়ে প্রথম গোল পেলেন লুকাকু
রয়টার্স

১৫ মিনিটে লুকাকুর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর পরে চেলসির হয়ে ৩৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান রিস জেমস। চেলসিও পেয়েছে ২-০ গোলের কাঙ্ক্ষিত জয়। নতুন মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল টমাস টুখেলের দল। ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হার দিয়ে মৌসুম শুরু করা আর্সেনালের এটা টানা দ্বিতীয় হার।

হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন পগবারা
রয়টার্স


এর আগে সাউদাম্পটনের মাঠে পিছিয়ে পড়েও ১-১ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। না জিততে পারলেও রেড ডেভিলরা ছুঁয়েছে প্রিমিয়ার লিগ যুগে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড। এত দিন রেকর্ডটা ছিল আর্সেনালের। ২০০৩ সালের ১৫ মার্চ ব্ল্যাকবার্নের মাঠে হারের পর আর্সেন ওয়েঙ্গারের কিংবদন্তি সেই আর্সেনাল লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে হারের স্বাদ পেয়েছিল ২০০৪ সালের ২৪ অক্টোবর। মাঝে একটা মৌসুম প্রতিপক্ষের মাঠ তো বটেই, পুরো লিগই অপরাজিত থাকার অনন্য কীর্তি গড়েছিল আর্সেনাল।

যে ইউনাইটেডের কাছে হেরে আর্সেনালের অপরাজেয় যাত্রা থেমে গিয়েছিল, সেই ইউনাইটেডই আজ ছুঁয়ে ফেলল আর্সেনালের রেকর্ড। সেই ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি লিভারপুলের মাঠে হারের পর থেকে প্রতিপক্ষের মাঠে আর হারেনি ইউনাইটেড, সে যাত্রায় আর্সেনালের রেকর্ড ছোঁয়া ২৭তম ম্যাচে অপরাজিত থাকল সাউদাম্পটনের মাঠে।
৩০ মিনিটে ফ্রেডের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেডের হয়ে পল পগবার পাস থেকে সমতা ফেরান ম্যাসন গ্রিনউড। লিডস ইউনাইটেডকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে মৌসুম শুরু করা ইউনাইডেট অবশ্য আজ জেতার মতো খেলতেও পারেনি। শুধু পল পগবা ছাড়া বাকিরা ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে, আলো ছড়াতে পারেননি কেউই।