শনিবার নিলামে মোনেম মুন্নার সেই জার্সি

১৯৮৯ প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে বাংলাদেশ লাল দলের জার্সিতে মোনেম মুন্না। ছবি: সংগৃহীত
১৯৮৯ প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে বাংলাদেশ লাল দলের জার্সিতে মোনেম মুন্না। ছবি: সংগৃহীত
>কিংবদন্তি ফুটবলার মোনেম মুন্নার বিখ্যাত জার্সি শনিবার উঠছে নিলামে। এই জার্সি কিনে যে–কেউ অবদান রাখতে পারেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই। ১৯৮৯ সালের প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপের শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ লাল দলের অন্যতম সদস্য মুন্নার এই জার্সি বিক্রির সব টাকা ব্যয় হবে করোনায় দুস্থদের সহায়তায়।

আগেই জানা গিয়েছিল করোনায় অসহায় মানুষদের সহযোগিতার লক্ষ্যে নিলামে উঠতে যাচ্ছে মোনেম মুন্নার জার্সি । কিন্তু কবে কীভাবে মুন্নার জার্সির নিলাম হবে সেটি চূড়ান্ত করা ছিল না। গতকালই ঠিক হয়েছে মোনেম মুন্নার ব্যবহার করা জার্সি নিলামে উঠবে আগামী ৯ মে, শনিবার, রাত দশটায়। অকশন ফর অ্যাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই নিলামের সার্বিক দায়িত্বে থাকবে।

প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে সরাসরি পরিচালনা করা হবে এই নিলাম। দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলারের জার্সি কিনতে চাইলে, আপনিও অংশগ্রহণ করতে পারেন সেখানে। জার্সি বিক্রির পুরো টাকাটা প্রদান করা হবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে. দুস্থদের সাহায্যে।

প্রথমে শোনা গিয়েছিল ১৯৯৫ সালে মিয়ানমার চারজাতি ফুটবলে শিরোপাবিজয়ী বাংলাদেশ দলের হয়ে মুন্না যে জার্সিটি পরে খেলেছিলেন সেটি নিলামে উঠবে, দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপাজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই তারকা। কিন্তু সেই জার্সিটি খুঁজে না পাওয়ায় দেশের ফুটবলের আরেকটি ঐতিহাসিক জার্সি নিলামে তোলা হচ্ছে। ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ লাল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন মুন্না। সে টুর্নামেন্টে তাঁর পরে খেলা '২' নম্বর জার্সিটিই নিলামে উঠবে আগামী শনিবার।

মুন্নার সেই বিখ্যাত জার্সিটিই নিলামে উঠবে আগামী শনিবার। ছবি: সংগৃহীত
মুন্নার সেই বিখ্যাত জার্সিটিই নিলামে উঠবে আগামী শনিবার। ছবি: সংগৃহীত

১৯৮৬ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মুন্না। এর মধ্যে অধিনায়কত্ব করেছেন একাধিকবার। ১৯৯০ সালে বেইজিং এশিয়ান গেমসে তাঁর হাতে প্রথম ওঠে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড। এরপর ১৯৯৫ সালে মিয়ানমার চারজাতি ফুটবল ও সে বছরই মাদ্রাজ সাফ গেমসে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মুন্নাকে অধিনায়ক করা হলেও চোটের কারণে তিনি খেলতে পারেননি। এরপর তিনি আর জাতীয় দলে খেলেননি।

আবাহনীর ঘরের ছেলে মুন্নার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে যায় ১৯৯৯ সালে। পরে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেও বেশিদিন সুস্থ থাকতে পারেননি। ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

আগামী ৯ মে মোনেম মুন্নার জার্সির সঙ্গে নিলামে তোলা হবে সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসানের জার্সিটিও। ২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল তৈয়ব পরিচালনা করেছিলেন এই জার্সিটি পরেই।

অকশন ফর অ্যাকশনের অধীনে ৯ মে রাতে একই সঙ্গে তুলা হবে বাংলাদেশের সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসানের জার্সি। ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে সাফ ফুটবলের ফাইনালে যে জার্সি পড়ে ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন তৈয়ব , নিলামে তুলা হচ্ছে সেই জার্সিটাই।