শিরোপা জিততে ‘জীবন দিতেও রাজি’ পারেদেসরা

কলম্বিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সেমিফাইনাল জয়ের পর সতীর্থদের সঙ্গে পারেদেসের উদযাপন।ছবি: রয়টার্স

গঞ্জালো হিগুয়েইন, হাভিয়ের মাচেরানো, সের্হিও রোমেরো, পাবলো সাবালেতা, ফার্নান্দো গাগো...অনেকেই ঝরে পড়েছেন।

তবে আর্জেন্টিনার সোনালি প্রজন্মের অনেকেই এখনো আছেন—লিওনেল মেসি, আনহেল দি মারিয়া, সের্হিও আগুয়েরো...।

তাঁদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন নতুন প্রজন্মের লিয়ন্দ্রো পারেদেস, লো সেলসো, পাপু গোমেজরা। সবাই মিলে বড় আর্জেন্টিনার শিরোপা–খরা কাটাতে মরিয়া।

১৯৯৩ সালের কোপা আমেরিকার পর আর কোনো শিরোপা জেতেনি আর্জেন্টিনা। ৩০ বছরের এই শিরোপা–বন্ধ্যাত্ব কাটানোর একটা সুযোগ এখন তাদের সামনে। আজ কলম্বিয়াকে হারিয়ে এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে লিওনেল মেসির দল।

ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার শিরোপা–বন্ধ্যাত্ব কাটানোর এই ফাইনালকে দলটির মিডফিল্ডার লিওনার্দো পারেদেস আখ্যা দিয়েছেন ‘স্বপ্নের ফাইনাল’ বলে।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে বল পায়ে পারেদেসের একটি মুহূর্ত।
ছবি: রয়টার্স

তা এই স্বপ্নের ফাইনাল জেতাটা খুব একটা সহজ হবে না বলেই মনে করেন মেসি। কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে ৩–২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পরই মেসি বলেছেন, ‘ফাইনালটি হবে সমানে সমান। দুই দলের জন্যই এটি কঠিন পরীক্ষার এক ম্যাচ।’

তবে ‘এই কঠিনেরে’ জয় করার পণ করেছেন মেসির সতীর্থরা। সেমিফাইনাল জয়ের পর নেইমারের পিএসজির সতীর্থ পারেদেস যেমন বললেন, ‘আর্জেন্টিনার জার্সিতে আমরা জীবন দিতেও রাজি।’

ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামের ফাইনাল নিয়ে পারেদেস টিওয়াইসি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘আমরা প্রথমে ফাইনালে উঠতে চেয়েছিলাম। কলম্বিয়ার বিপক্ষে আমরা নিচেদের সেরা খেলাটা উপহার দিয়েছি। আমরা নিজেদের খেলায় খুব খুশি।’

ফাইনাল নিশ্চিতের পর আনন্দে আত্মহারা আর্জেন্টিনা দল।
ছবি: রয়টার্স

পারেদেস এরপর যোগ করেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকে আর্জেন্টিনার হয়ে একটি ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছি আমরা। শুধু সেটাই নয়, এই স্বপ্নটা দেখেছি এই দলের বিপক্ষে এই দেশে (ব্রাজিলের মাঠে) ফাইনাল খেলব বলে।’

পারেদেসের প্রথম স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে। এখন তিনি আশা করছেন আর্জেন্টিনার হয়ে কিছু জেতার স্বপ্নটাও পূরণ হবে, ‘একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আশা করছি, আমাদের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ভালোটাই হবে।’