সমান্তরালে ইতালি-স্পেন

মাইলফলক ম্যাচে এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারতেন জিয়ানলুইজি বুফন?
শুধু আলবেনিয়ার সমর্থকেরা দুবার আতশবাজি ফুটিয়ে ম্যাচে ঝামেলা বাধিয়েছিলেন। এ ছাড়া পেশাদার ক্যারিয়ারের এক হাজারতম ম্যাচটি ইতালিয়ান গোলকিপারের সব দিক থেকে ভালোই কেটেছে। গোলপোস্ট অক্ষত রেখেছেন, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটিতে আলবেনিয়াকেও ২-০ গোলে হারিয়েছে তাঁর ইতালি, এই জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়েও গ্রুপে স্পেনের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষেই রইল আজ্জুরিরা।
জিতেছে স্পেনও। হুলেন লোপেতেগির তরুণ দলটা ঘরের মাঠে ইসরায়েলকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে। গ্রুপে পাঁচটি করে ম্যাচ শেষে ইতালি ও স্পেন—দুই দলেরই পয়েন্ট ১৩।
বুফনের মাইলফলক উৎসবটা আতশবাজির ধোঁয়ায় উবে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। দুই অর্ধে দুবার। প্রথমবার ম্যাচের ১২ মিনিটে। ইতালি পেনাল্টি পাওয়ার পর আতশবাজি ছোড়েন আলবেনিয়া সমর্থকেরা। খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর পেনাল্টি থেকে গোল করেন ড্যানিয়েলে ডি রসি। দ্বিতীয় ঘটনাটি দ্বিতীয়ার্ধে, এবার প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ থাকে ম্যাচ।
তরুণ প্রতিভায় উদ্দীপ্ত ইতালিকে এসব রুখতে পারেনি। ৮০ মিনিটে সিরো ইমোবিলের গোল জয় নিশ্চিত করে আজ্জুরিদের। বাছাইপর্বে দল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এতেই খুশি ইতালি কোচ জিয়ামপিয়েরো ভেনতুরা, ‘অসাধারণ বা মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স ছিল না। তবে এতটুকু বলতে পারি, দলে অনেক তরুণ-নবীন প্রতিভা এসেছে, একটা দুর্দান্ত দলও ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে।’
তরুণদের নিয়ে ধীরে ধীরে দল গড়ে তোলার দাবি করতে পারেন স্পেন কোচ লোপেতেগিও। ২০১৬ ইউরোর পর দায়িত্ব নিয়ে তরুণ একটা দলই গড়ছেন। ভালোও করছেন। পরশু ম্যাচটিও সেটির প্রমাণ। প্রথমার্ধে ডেভিড সিলভা ও ভিতোলোর গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্পেনের হয়ে গোল করেন ডিয়েগো কস্তা। ৭৬ মিনিটে রাফায়েলভ ইসরায়েলের হয়ে একটি গোল ফেরত দেন, তবে ৮৮ মিনিটে ইসকোর গোলে বড় জয়ই নিশ্চিত হয় স্পেনের।
লোপেতেগির তবু একটু অতৃপ্তি আছে! সেটি কী, স্পেন কোচ তা জানালেন ম্যাচ শেষে, ‘বল পায়ে তীব্রতাটা ভালো ছিল। চারটি গোল করেছি, তবে আরও বেশি করতেই পারতাম।’ ইএসপিএন, বিবিসি।