সালজবুর্গকে উড়িয়ে কোয়ার্টারে বায়ার্ন

হ্যাটট্রিক পেয়েছেন লেভানডফস্কিছবি : রয়টার্স

বায়ার্ন মিউনিখ ৭-১ রেড বুল সালজবুর্গ

(লেভানডফস্কি-৩, মুলার-২, নাব্রি, সানে) (কায়েরবার্গ)

দুই লেগ মিলিয়ে ৮-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টারে বায়ার্ন

প্রথম লেগে সালজবুর্গ নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে। করিম আদেয়ামিদের ভয়ডরহীন ফুটবল বেশ নজর কেড়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে সালজবুর্গের প্রতিরোধ কোথায় উড়ে গেল, প্রশ্ন তোলাই যায়।

দ্বিতীয় লেগে স্কোরলাইনের বাঁ পাশে আরও হাফ ডজন গোল যুক্ত হলো, ডান পাশে কোনো পরিবর্তন হলো না। বায়ার্ন জিতল ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। হ্যাটট্রিক করেছেন পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি, জোড়া গোল জার্মান ফরোয়ার্ড টমাস মুলারের। একটি করে গোল করেছেন দুই উইঙ্গার লিরয় সানে ও সার্জ নাব্রি। সালজবুর্গের হয়ে একমাত্র গোলটা মরিৎজ কায়েরবার্গের।

প্রথম লেগে জয়হীন থাকা বায়ার্ন এই ম্যাচে প্রথম থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ করা শুরু করে। লেভা-নাব্রি-মুলারদের একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে সালজবুর্গের রক্ষণভাগে। ২৩ মিনিট জেতে না জেতেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফেলেন লেভানডফস্কি।

প্রথম মিনিটেই লেভানডফস্কির কল্যাণে এগিয়ে যেতে পারত বায়ার্ন। কিন্তু সালজবুর্গের গোলকিপার ফিলিপ কোন গোল হতে দেননি। ম্যাচের ১১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সে থাকা লেভানডফস্কির উদ্দেশ্যে ক্রস পাঠান ফরাসি উইঙ্গার কিংসলে কোমান। সে শট আয়ত্তে আনতে না আনতেই সালজবুর্গের ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ান ওবারের এর ট্যাকলের শিকার হন লেভানডফস্কি। পেনাল্টি পেয়ে যায় বায়ার্ন। ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা। নিকোলাস সিওয়াল্ডের কল্যাণে কিছুক্ষণ পর বায়ার্নের রক্ষণ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার একটা সুযোগ পেলেও গোল পায়নি সালজবুর্গ।

২১ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। আবারও লেভানডফস্কিকে ফেলে দিয়ে দলের বিপদ ডেকে আনেন ওবার। সেখান থেকে গোল করে ২১ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করে ফেলেন লেভা। দুই মিনিট পরেই সালজবুর্গের হাই লাইন ডিফেন্সের ফাঁক বের করে ফেলেন মুলার-লেভানডফস্কি জুটি। মুলারের পাস থেকে ২৩ মিনিটেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফেলেন লেভানডফস্কি। হ্যাটট্রিক করে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় বায়ার্নের হয়ে গোল করার দিক দিয়ে কিংবদন্তি স্ট্রাইকার জার্ড মুলারকে পেছনে ফেলেছেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার।

তিন গোল করতে ২৩ মিনিটও লাগেনি লেভানডফস্কির
ছবি : রয়টার্স

৩১ মিনিটে নিজেদের রক্ষণভাগ থেকে বল বের করতে গিয়ে উলটো ঝামেলায় পড়ে সালজবুর্গ। নিজেদের রক্ষণভাগে কিংসলে কোমানের কাছে বল হারায় দলটা। সেখান থেকে কোমান পাস দেন ডান প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা নাব্রির দিকে। গোল করতে সমস্যা হয়নি এই জার্মান উইঙ্গারের।

প্রথমার্ধটা যদি লেভানডফস্কির হয়, দ্বিতীয়ার্ধটা গোলের দিক দিয়ে নিশ্চিতভাবেই টমার মুলারের। ৫৪ মিনিটে ইয়োসুয়া কিমিখ ও সানের যুগলবন্দীতে বল পেয়ে যান মুলার। বাঁ পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান ৫-০ করে ফেলেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

৭০ মিনিটে দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণে মরিৎজ কায়েরবার্গের কল্যাণে নিজেদের সান্ত্বনার গোলটা পেয়ে যায় সালজবুর্গ। ৮৩ মিনিটে লিরয় সানের পাসে নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান মুলার। লেভানডফস্কির পাসে ম্যাচের শেষ গোলটা করেন সানে।

দুই লেগের সম্মিলিত ফলাফলে ৮-২ ব্যবধানে পরের রাউন্ডে উঠে যায় বায়ার্ন।