হংকংয়ের বিপক্ষে জয় চান জনি

ইমতিয়াজ সুলতান জনি। ফাইল ছবি
ইমতিয়াজ সুলতান জনি। ফাইল ছবি

এশিয়াড ফুটবলে আজ হংকংয়ের বিপক্ষে যেকোনো মূল্যে জয় চান ইমতিয়াজ সুলতান জনি। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, হংকংকে হারিয়ে এশিয়াড ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করাটা ফুটবলের জন্য এক বিরাট প্রণোদনা। এই সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করা উচিত হবে না।

তিনটি এশিয়ান গেমসে দেশের জার্সি গায়ে খেলেছেন ইমতিয়াজ সুলতান। খুব ভালোভাবেই বোঝেন এই প্রতিযোগিতার মাহাত্ম্য। তাঁর মতে, এশিয়ান গেমস এমন একটি প্রতিযোগিতা, যে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখা কমপক্ষে দুটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের সমতুল্য।

মামুনুল ইসলামের দলের প্রতি যথেষ্ট আস্থাবান ইমতিয়াজ সুলতান, ‘আমি মনে করি, হংকংকে হারানোর ক্ষমতা আমাদের ছেলেদের আছে। আফগানিস্তানকে প্রথম ম্যাচে তারা ভালো খেলেই হারিয়েছে। শক্তিধর উজবেকিস্তানের বিপক্ষেও খেলা খুব মন্দ হয়নি। প্রথম দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আজকের ম্যাচে ভালো কিছুই বেরিয়ে আসা উচিত।’

দেশের ফুটবলের বর্তমান অবস্থা ইমতিয়াজ সুলতানকে পীড়া দিলেও তিনি এ নিয়ে আশাবাদী, ‘আমাদের সময় যে পরিস্থিতি ছিল, সেটার সঙ্গে তুলনা করলে একটু কষ্ট তো পাই-ই। কিন্তু আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক-দুটি বড় সাফল্যই দেশের ফুটবলের চেহারা পাল্টে দিতে পারে।’

দেশের ফুটবলের সোনালি সময়ে মাঠের সৈনিক ছিলেন ইমতিয়াজ সুলতান। অনেক অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই মনে করেন, আন্তর্জাতিক সাফল্য নিয়ে কখনোই খুব বেশি ভাবিত ছিলেন না ফুটবল-কর্তারা। ফুটবলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোথায় যেন ছিল এক অনীহা। আর এ ব্যাপারটিই ফুটবলকে পিছিয়ে দিয়েছে অনেক অনেক দূর, ‘আমরাও যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফল ছিলাম—এ কথা বলাটা খুব অন্যায় হবে। আমরাও সাফল্য পাইনি। ফুটবল নিয়ে মানুষের উন্মাদনাটা কিন্তু তখন ছিল। ঘরোয়া ফুটবলে ভালো খেলোয়াড়ের অভাব ছিল না। ওই সময় যদি কর্মকর্তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, এটা নিয়ে কাজ করতেন—তাহলে আজ পরিস্থিতি এমন হতো না। আমাদের সময় কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছিল না। নতুন খেলোয়াড় তৈরিতে কোনো বিনিয়োগ ছিল না। যে কারণে এখন ভালো, প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের বড্ড অভাব। আর এটাই ভোগাচ্ছে আমাদের ফুটবলকে।’

ইমতিয়াজ সুলতান জনি ১৯৮৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সাফ গেমসে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৮ সালে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ বাছাইয়েও তাঁর হাতে ছিল অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড। দেশের হয়ে ৬১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ এই ফুটবলার আশির দশকের শুরু থেকে নব্বইয়ের দশকের শুরু পর্যন্ত খেলেছেন আবাহনী-মোহামেডান দুই প্রধানেই। ১৯৮৫ সালে তাঁর নেতৃত্বে আবাহনী জয় করেছিল লিগ শিরোপা।