হাইকোর্টের আদেশই বহাল

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সের পাশের সংবাদ সম্মেলনকক্ষটা মুহূর্তেই হয়ে উঠল সরগরম। ফুটবলার ও কোচদের বসার চেয়ার-টেবিলের পেছনে লাগানো এএফসি কাপের লোগোসংবলিত হোর্ডিংটা মানবদেয়াল দিয়ে ততক্ষণে অদৃশ্য করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কর্মকর্তারা। হঠাৎই কাল শেখ জামাল ক্লাব সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীনতা কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামার আগে। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, কয়েক সপ্তাহ ধরে নিজেদের দাবি করে আসা আট ফুটবলারকে আবারও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে ফেরত চাওয়া।
শেখ জামাল ক্লাবের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আট ফুটবলারকে শেখ জামালের পক্ষে খেলার আদেশ দেন। ওই আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে তা আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। গতকাল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
কাল সংবাদ সম্মেলনে শেখ জামাল ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের সঙ্গে করে এনেছিলেন তাঁদের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে। তিনি আদালতের স্থগিতাদেশের বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগের ওই আদেশের বিরুদ্ধে পিটিশন করে বাফুফে। যার উদ্দেশ্য ছিল সেটি স্থগিত করা। নিয়ম অনুসারে এটি আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির (জাজ ইন চেম্বার) কাছে আবেদন করতে হয়। বাফুফে এটি স্থগিত করার সেই চেষ্টাই করেছে। কিন্তু চেম্বার জজ তা স্থগিত করেননি। তাঁরা বলেন, যদি বাফুফে আপিল দায়ের করে তাহলেই আমরা শুনানি করব। সেই শুনানি হয়েছে আজ (কাল)। সেখানে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার শুনানি করার পর হাইকোর্টের আদেশটিই বহাল রেখেছেন।’ অর্থাৎ ওই আট ফুটবলার শেখ জামাল ছাড়া অন্য কোনো ক্লাবে খেলতে পারবে না।