হৃদ্রোগে আক্রান্ত সাবেক ফুটবলার নকীব

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব। ফাইল ছবি
হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব। ফাইল ছবি

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব। গতকাল সন্ধ্যায় মতিঝিলে সোনালি অতীত ক্লাবে ফুটবল অনুশীলনের পর অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ বিকেলে তাঁর হৃৎপিণ্ডে এনজিওগ্রাম করা হবে।
সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান বাবলু প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল বিকেলে আমরা একসঙ্গে সোনালি অতীত ক্লাবে অনুশীলন করেছি। অনুশীলন শেষে নকীব তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ক্লাবের বাইরে যান কিছু খাওয়ার জন্য। সেখানেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। পরে স্ত্রী ডা. সৈয়দা নাজলী মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করে নকীবকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
আপাতত নকীবের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। ইসিজির রিপোর্টে একটু সমস্যা পাওয়ায় তাঁর এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ বিকেলে এনজিওগ্রাম করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে বিকেলে নকীবের এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। এতে তাঁর হৃৎপিণ্ডে দুটি ব্লক ধরা পড়েছে। সেখানে রিং স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নকীবের এক পারিবারিক বন্ধু।
১৯৯০ সালে মোহামেডানের হয়ে আবির্ভাবেই নকীব সবার নজর কাড়েন অনন্য গোল-স্কোরিং সামর্থ্যের কারণে। খুব অল্প দিনের মধ্যেই তিনি পরিণত হন দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারে। তাঁর হেড ছিল দুর্দান্ত। সে বছরই বেইজিং এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে খেলেন। মোহামেডানেই খেলেন ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় । মুক্তিযোদ্ধাতেও খেলেছেন বেশ কয়েক বছর। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত টানা খেলেন জাতীয় দলে। ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চার জাতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে মিয়ানমারের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে নকীবের গোল ছিল একটি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতীয় দলের হয়ে বেশ কিছু গোল আছে তাঁর।
বিদেশের মাটিতে অনন্য এক রেকর্ডের অধিকারী নকীব। ১৯৯১ সালে সিউলে প্রি-অলিম্পিক বাছাইয়ে ফিলিপাইনকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সে ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ নকীব একাই করেছিলেন ৫ গোল। এটি যেকোনো ধরনের ফুটবলেই বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড। ঢাকার ঘরোয়া ফুটবলেও ১০০ গোলের রেকর্ড আছে তাঁর।