বাকারি সানিয়া এখন আর্সেনালের খেলা দেখে শান্তি পান না। সাবেক আর্সেনাল ফুলব্যাককে এখন ভয়ে থাকতে হয় তাঁর দলের খেলার সময়।
সব সময় ভয়ে থাকেন, এই বুঝি হারছে আর্সেনাল। কালও এমন ভয় নিয়েই ম্যাচ দেখেছেন। এবং তাঁর ভয় সত্যি করে কাল ঘরের মাঠে চেলসির কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে গেছে আর্সেনাল।
ঘরের মাঠে এই হারে আর্সেনালে কোচ মিকেল আরতেতার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আবার। ক্লাবের সাবেক মিডফিল্ডারের অধীনে ভালো করছে না গানাররা। দুই দশক পর এই প্রথম ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় দেখা যাচ্ছে না আর্সেনালকে।
সেটা আরতেতার প্রথম পূর্ণ মৌসুমের পরই ঘটল। আর এবার তো যে লজ্জা জুটেছে, সেটা ক্লাব ইতিহাসেই কখনো ঘটেনি। এতটা বাজেভাবে কখনো লিগ শুরু করেনি আর্সেনাল।
কাল প্রথমার্ধেই দুই গোল খেয়ে বসেছিল আর্সেনাল। ৯০ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। তবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েও আর গোল করতে পারেনি। আরএমসি স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলার সময় আর ক্ষোভ আটকাতে পারেননি সানিয়া, ‘ক্লাবের ডিএনএ বিদায় নিয়েছে। এখন আর্সেনালের খেলা দেখলে সত্যি বলছি আমি জানি যে অধিকাংশ সময় ওরা হারবে। এটা হবেই, আমরা খুব ফালতু কোনো গোল খাব। আমি যখন খেলতাম, যে কেউ আর্সেনালে যোগ দেওয়ার কথা ভেবে রোমাঞ্চিত হতো...আমরা নিজেদের সে পরিচয় হারিয়েছি।’
আর্সেনালের জন্য বড় দুঃসংবাদ, লিগে পরের ম্যাচেই ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে তারা। সেটাও সিটির মাঠে। গত ম্যাচেই নরউইচকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সিটি। এর মধ্যেই একটা লজ্জার রেকর্ড হয়ে গেছে। প্রথম ম্যাচে ৭৪ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ওঠা ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে আর্সেনাল। দ্বিতীয় ম্যাচেও দুই গোল খেয়ে কোনো গোল দিতে পারেনি আর্সেনাল।
ইংলিশ ফুটবলে ১২৮ বছর ও ১১৮টি মৌসুমে এতটা বাজে সময় আর কাটায়নি আর্সেনাল। এই প্রথম লিগে প্রথম দুই ম্যাচে কোনো গোল না করে হেরেছে আর্সেনাল। ১৮৯৩ সালে ফুটবল লিগে যোগ দেওয়ার পর থেকে এমন কিছু কখনো ঘটেনি। আর এ দুই হারে লিগে এখন ১৯তম আর্সেনাল। অর্থাৎ অবনমন অঞ্চলে আছে আর্সেনাল। সেটাও একটা রেকর্ড।
১৯৯২ সালের আগস্টের পর থেকে কখনো টানা দুটি ম্যাচ অবনমন অঞ্চলে কাটায়নি আর্সেনাল। প্রথম ম্যাচে কখনো বড় হারের পর হয়তো অবনমন অঞ্চলে থাকলেও পরের ম্যাচের পারফরম্যান্সে সেখান থেকে বেরিয়ে গেছে তারা। কিন্তু এবার দুই ম্যাচ শেষেও অবনমন অঞ্চলে আছে আর্সেনাল। আরতেতার চাকরি নিয়ে তাই সন্দেহ নেই।