৪০ বছর পর্যন্ত খেলতে পারবেন আগুয়েরো
১০ বছরে পাঁচটি লিগ শিরোপা, আর সাতটি ঘরোয়া কাপ। ম্যানচেস্টার সিটিতে সাফল্যে মোড়ানো এক সময় কাটিয়েছেন সের্হিও আগুয়েরো। সিটির কিংবদন্তিদের মধ্যে জ্বলজ্বল করবে তাঁর নাম। কিন্তু ৩২ বছর বয়সেই সিটিকে বিদায় বলে দিচ্ছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। এ বছরই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তাঁর।
চুক্তির মেয়াদ আর না বাড়ানোয় দুই পক্ষই ভূমিকা রেখেছে। একদিকে এ মৌসুমে চোটাঘাতে আগুয়েরো মাঠে নামতে প্রস্তুত ছিলেন খুব কম সময়। আর যখন সুস্থ ছিলেন, তখনো তাঁকে নিয়মিত নামানো হয়নি। লিগে ১৮ ম্যাচে নেমে মাত্র ৪ গোল করায় তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে, এটাও বলা যাচ্ছে না। ওদিকে ক্লাবে নিজের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে বুঝে নিজে থেকেই সরে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন আগুয়েরো। সহজ ভাষায়, ইংলিশ লিগের জন্য আগুয়েরো একটু বেশিই ‘বুড়িয়ে’ যাচ্ছেন বলেই এই সিদ্ধান্ত।
পেপ গার্দিওলা অবশ্য অন্য কিছু বলছেন। তাঁর ধারণা, আগুয়েরোর মতো দুর্দান্ত খেলোয়াড় চাইলে ৪০ বছর পর্যন্ত খেলতে পারবেন।
আগামী রোববার সিটির হয়ে লিগের শেষবার কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন আগুয়েরো। এভারটনের বিপক্ষে সে ম্যাচ ঘরের মাঠে। ইংল্যান্ডে দর্শকদের সীমিত আকারে মাঠে ফেরার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগুয়েরো সমর্থকদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
১০ বছরের যাত্রাটা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ নিয়েই শেষ করতে পারছেন আগুয়েরো। তাঁকে বিদায় দিতে হচ্ছে বলে মন খারাপ গার্দিওলার, ‘আগুয়েরো দারুণ ভালো ও মজার মানুষ। কিংবদন্তি হয়েও বিনয়ী। আর্জেন্টিনা থেকে এসে এমন এক দেশে যেখানে গোল করা কঠিন, সেখানেও বছরের পর বছর ধরে গোল করেছে। ড্রেসিংরুমে সবাই ওকে ভালোবাসে। আমি নিশ্চিত রোববার শেষ ম্যাচে সমর্থকেরা ওকে প্রাপ্য সম্মান দেবে। সে যা করেছে, শিরোপা, গোলসংখ্যা, পারফরম্যান্স, অসাধারণ।’
আগুয়েরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটছে না। কেউ ধারণা করছেন, মেসির পাশে বার্সেলোনায় দেখা যাবে তাঁকে। তাঁর সাবেক দল আতলেতিকো মাদ্রিদে যাওয়ার সম্ভাবনাও জেগেছে। এমনকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসও নাকি তাঁকে পেতে আগ্রহী। আগ্রহী সব ক্লাবের সমর্থকদের জন্য এক সুখবর দিয়েছেন পেপ।
তাঁর ধারণা, সিটি-অধ্যায় শেষ হলেও এখনো শীর্ষ পর্যায়ে অনেক কিছু দেওয়ার আছে এই স্ট্রাইকারের, ‘সে অনেকটা জঙ্গলের সিংহের মতো, যে প্রতিপক্ষকে শেষ করে দেয়। প্যালেসের (লিগে) বিপক্ষে গোলটাই তার সেরা উদাহরণ। দুই বা তিন পা এগিয়ে নিয়ন্ত্রণ করল তারপর ওয়াও! এত দারুণ গতি আর গোল করার জন্য কী দক্ষতা দেখিয়েছে, ওর সেই দক্ষতা আছে। সে চাইলে ৪০ বছর পর্যন্ত খেলতে পারবে এবং গোল করতে পারবে।’