ব্রাজিল কেন পারছে না, রহস্য জানালেন রোমারিও

ব্রাজিল এখন যেন ছন্নছাড়া এক দলরয়টার্স

‘জোগো বনিতো’ তথা সুন্দর ফুটবল থেকে ব্রাজিল দূরে সরে গেছে অনেক আগেই। ফলনির্ভর ফুটবলে জোর দিতে গিয়েই মূলত নিজেদের আত্মপরিচয় বিসর্জন দেয় দলটি। তবে এখন তো ফলনির্ভর ফুটবলটাও ঠিকঠাক খেলতে পারছে না ব্রাজিল। একের পর এক ব্যর্থতা কোণঠাসা করে দিয়েছে ব্রাজিল দলকে।

সর্বশেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে ব্রাজিল বিধ্বস্ত হয়েছে ৪–১ গোলে। এই হারের পর চাকরি হারিয়েছেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। বিশ্বকাপের প্রায় ১৪ মাস আগে ব্রাজিল দলের দুরবস্থা হতাশায় ডুবিয়েছে দলটির সমর্থকদের।

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন পারছে না ব্রাজিল? দলটিতে ইউরোপে দাপট দেখানো তারকার অভাব নেই। ভিনিসিয়ুস, আলিসন রাফিনিয়া কিংবা রদ্রিগোরা নিজেদের সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। তাহলে কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে ব্রাজিল?

আরও পড়ুন

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি রোমারিও। তাঁর মতে, ব্রাজিলের বর্তমান দলের খেলোয়াড়েরা আগের প্রজন্মের খেলোয়াড়দের মতো ক্ষুধার্ত নন। পাশাপাশি তরুণেরা যতটা ক্লাব–অন্তপ্রাণ, জাতীয় দলের জন্য ততটা আবেগ তাঁদের নেই। আর এ কারণেই সফল হতে পারছেন না তাঁরা।

ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিও
এক্স

ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক রোমারিও বলেন, ‘আমাদের প্রজন্মের খেলোয়াড়েরা জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত ছিল। যদি তারা বুঝতে পারে যে এই ক্ষুধা কেন জরুরি, তবে তারা সফল হতে পারবে। আমি দেখছি, এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের চেয়ে ক্লাবের জন্য বেশি মন দিয়ে খেলে। আমি জানি না, তারা ঝিমিয়ে পড়ে কি না, তবে নিবেদনটা ভিন্ন। আমাদের সময়ে আমরা ক্লাব আর জাতীয় দল—দুটির জন্যই খেলতাম। এর ফলে এটাও বড় পার্থক্য।’

আরও পড়ুন

খেলোয়াড়ি জীবনে ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে করেছিলেন ৭০ ম্যাচে ৫৫ গোল। ’৯৪ বিশ্বকাপ ছাড়াও ১৯৮৯ ও ১৯৯৭ সালে জিতেছেন কোপা আমেরিকা এবং ১৯৯৭ সালে জিতেছিলেন কনফেডারেশনস কাপ।

ব্রাজিলের জার্সিতে দারুণভাবে সফল এই ফুটবলার জাতীয় দল নিয়ে আরও বলেন, ‘জাতীয় দল বাকি সবকিছু থেকে আলাদা। আমি যেসব ম্যাচ খেলেছি, সেগুলো নিয়ে আমি আনন্দিত। বিশেষ করে যেগুলোতে শিরোপা জিতেছি। জাতীয় দলই আমার ক্যারিয়ারকে চিহ্নিত করেছে। এর জন্য আমি জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম।’