চুল যেভাবে রোনালদোর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো শুধু ফুটবলার হিসেবেই নন, ফ্যাশন আইকন হিসেবেও জনপ্রিয়। বিশ্বের নানা প্রান্তে রোনালদোকে অনুকরণ করে নিজেদের বেশভূষা বেছে নেন অসংখ্য তরুণ। বিশেষ করে রোনালদোর চুলের স্টাইল তুমুল জনপ্রিয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের চুলের স্টাইল নিয়ে কথা বলেছেন আল নাসর তারকা রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকার মতে, তাঁর চুল শুধু ফ্যাশনের বিষয় নয়, এটা তাঁর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে চুলের স্টাইল তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
সৌদি আরবের রেডিও ‘লাউড এফএম’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পর্তুগাল অধিনায়ক রোনালদো মজা করে বলেন, ‘চুল থাকলে কাজকর্ম করতে আরও ভালো লাগে বলে মনে করি। তুমি কি আমার সঙ্গে একমত নও? আমি তো চুলকে অগ্রাধিকার দিই। ধরো, যদি আমাকে চুল ছাড়া দেখো, তাহলে আমি আর আগের সেই ক্রিস্টিয়ানো থাকব না।’
রোনালদো যোগ করেন, ‘অনেকেই হয়তো চুল থাকা বা না থাকাকে পাত্তা দেন না। কিন্তু আমার বিশ্বাস, চুল থাকলে মানুষকে আরও ভালো দেখায়। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত মতামত।’
রোনালদোর এই মন্তব্যে যেমন রসিকতা আছে, তেমনি ফুটে উঠেছে নিজের বেশভূষা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকার ওপর গুরুত্ববোধও। রোনালদো এমন একজন যাঁর ক্যারিয়ারে আত্মবিশ্বাস, ব্যক্তিত্ব ও নিজেকে আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করার গুরুত্ব অনেক। তাঁর জন্য নিজের চেহারায় ও পরিচ্ছদে নান্দনিকতা ধরে রাখাও সাফল্যের অংশ।
চুলের যত্ন নিয়ে রোনালদোর ভাবনা আসলে তাঁর ফ্যাশন, ফিটনেস ও সুস্থতা-বিষয়ক উদ্যোগগুলোরই অংশ। ইন্সপায়ার নামে তাঁর প্রতিষ্ঠান আছে, যা তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ইন্সপারিয়া গ্রুপের অংশ হিসেবে। এই ক্লিনিক চুল প্রতিস্থাপনের আধুনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ। এর মাধ্যমেই রোনালদো বিশ্বজুড়ে চুলের সৌন্দর্যচর্চা শিল্পের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বছরের পর বছর রোনালদো চুলের বিভিন্ন স্টাইল করেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তাঁর চুলে ‘স্পাইক’ কাট গোটা বিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদ এবং তারপর জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছিলেন আরও পরিণত হিসেবে।
তখন রোনালদোর চুলের ছাঁটেও আরও পরিণত মানসিকতার ছাপ ছিল। স্পাইক ছেড়ে চুল স্বাভাবিক ছাঁটে আনেন। তবে রিয়ালে চুলের সামনের অংশ বাদামি রংও করেছিলেন রোনালদো।