অলিম্পিকে খেলার ইচ্ছা আছে মার্তিনেজের, তবে…

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজএএফপি

একজন ফুটবলারের জীবনের সবচেয়ে বড় যে স্বপ্ন, সেটা তাঁর পূরণ হয়ে গেছে। বিশ্বকাপ জেতা হয়ে গেছে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের।

শুধু জিতেছেন বললে কম বলা হবে, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকও। এর আগের বছর জিতেছেন কোপা আমেরিকাও। সেখানেও পেয়েছেন সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি।

জাতীয় দলে তিন বছরের কম সময়ের ক্যারিয়ারে আর খুব বেশি কিছু পাওয়ার নেই মার্তিনেজের। না, একটা আছে। দেশের জার্সি গায়ে কখনো অলিম্পিকে খেলা হয়নি। অলিম্পিকে সোনাও যে জেতা হয়নি, তা তো বলাই বাহুল্য। না খেললে আর জেতার প্রশ্ন আসে কোত্থেকে!

৩১ বছর বয়সী মার্তিনেজের সেই সুযোগ এখনো একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। আর্জেন্টিনা এরই মধ্যে এ বছরের প্যারিস অলিম্পিক ফুটবলে খেলা নিশ্চিত করেছে। অলিম্পিক দলটা অনূর্ধ্ব-২৩ খেলোয়াড়দের হলেও নিয়মানুযায়ী কোনো কোচ চাইলে ২৩-এর বেশি বয়সী সর্বোচ্চ তিনজন খেলোয়াড় দলে রাখতে পারেন। আর্জেন্টিনার সেই তিনজনের মধ্যে দুজন হতে পারেন লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়া। তৃতীয়জন কি তাহলে মার্তিনেজ?

আরও পড়ুন

অলিম্পিকে খেলতে চান—এমন কথা সরাসরি বলেননি মার্তিনেজ। তবে দক্ষিণ আমেরিকাভিত্তিক ডিরেক্টটিভি স্পোর্টসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক যা বলেছেন, তাতে তাঁর অলিম্পিকে খেলার সুপ্ত ইচ্ছাটা প্রকাশ পেয়েছে ভালোভাবেই, ‘জাতীয় দলের হয়ে যদি কোনো অর্জন আমার বাকি থেকে থাকে, সেটা হচ্ছে অলিম্পিক জয়।’

বাছাই পর্ব থেকে ব্রাজিলকে বিদায় করে প্যারিস অলিম্পিকে খেলা নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা
এক্স

তবে মার্তিনেজ এটাও জানেন, অলিম্পিকটা মূলত তরুণদের জন্য, বাছাইপর্বের কঠিন পথ পেরিয়ে আর্জেন্টিনাকে মূল পর্বে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বটাও তাঁদের। অলিম্পিকের বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা দলের গোলরক্ষক ছিলেন বোকা জুনিয়র্সের লিয়ান্দ্রো ব্রে। এখন মার্তিনেজের স্বপ্ন পূরণ করতে গেলে প্যারিসে ব্রেকে বসিয়ে রাখতে হবে যুব দলের কোচ হাভিয়ের মাচেরানোকে

আরও পড়ুন

সেটা যে ২১ বছর বয়সী ব্রে কিংবা যুবদলের অন্য কারও প্রতি ন্যায্য আচরণ হবে না, তা–ও জানেন মার্তিনেজ, ‘এটা (অলিম্পিকে খেলার সুযোগ) ওদেরই প্রাপ্য। তারা ভালো ছন্দে আছে। ওই দলে পরিবর্তন করার কোনো কারণ দেখি না আমি।’

শুধু অলিম্পিকেই নয়, ভবিষ্যতের কথা ভেবেও তরুণদের বেশি সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মার্তিনেজ, ‘এমনকি আমরা যদি কোপা আমেরিকায় ভালো করি এবং জিতি, তারপরও আমাদের চলে যেতে হবে এবং নতুনদের জন্য পথ করে দিতে হবে।’

২০০৮ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে অলিম্পিক স্বর্ণপদক জেতেন মেসি ও দি মারিয়া
আইওসি

কে জানে, সুযোগের অপেক্ষায় থেকে থেকে ২৯ বছর বয়সে তাঁর নিজের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে বলেই হয়তো তরুণদের সুযোগ দেওয়ার গুরুত্বটা আরও বেশি উপলব্ধি করতে পারছেন মার্তিনেজ।