‘সব সময় মেসিকে বল দেওয়া জরুরি নয়’

লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়াছবি: রয়টার্স

লিওনেল মেসি-আনহেল দি মারিয়ার সম্পর্কটা অনেক দিনের। সেই শৈশব থেকেই দুজনের পথচলা শুরু। আর্জেন্টিনার ব্যর্থতা-সাফল্য দুজনেই দেখছেন খুব কাছ থেকে। এত বছরে দি মারিয়া মেসির প্রশংসা করেছেন বারবার। বিশ্বসেরার উপাধি দিয়েছেন। নতুন করে আবারও সেই মেসির প্রশংসা করলে একটু ‘ক্লিশে’ লাগারই কথা কিংবা দি মারিয়ার নিজেরই ক্লান্তই লাগার কথা। কিন্তু আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গারের মেসির প্রশংসা করতে এতটুকু ক্লান্ত লাগে না।

বিশ্বকাপের আগে ‘লা নাসিওন’-এর সঙ্গে কথা বলেছেন দি মারিয়া। আর্জেন্টাইন তারকা বলেছেন, ‘মেসি বিশ্বের সেরা, ও ভিনগ্রহের। এ কথা বলতে আমার মোটেই ক্লান্ত লাগে না। আবারও বলছি মেসির সঙ্গে খেলতে পারাই আমার জীবনের সেরা অর্জন। একসঙ্গে অনেক বছর ধরে জাতীয় দলে খেলছি। ক্লাব ফুটবলেও একসঙ্গে খেলা হয়েছে। তার সঙ্গে খেলতে পারা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো।’

টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল স্কালোনির দল ফেবারিটের তকমা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা, এই দলটা পুরোপুরি মেসি নির্ভর নয়। দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি নিজেই জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত সাফল্যে নির্ভর করে নয়, দল হিসেবেই সাফল্য চায় আর্জেন্টিনা।

মেসি–দি মারিয়া জাতীয় দলে দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে খেলছেন
ছবি: টুইটার

দি মারিয়াও বলছেন—সব সময়ই যে মেসির পায়েই বল দিতে হবে ব্যাপারটা তেমন নয়, ‘মাঠে মেসির সঙ্গে লেগে থাকার চেষ্টা করি। তাকেই খুঁজি। তবে সব সময়ই মেসিকে বল দেওয়া জরুরি নয়। কখন তাকে বল দিতে হবে সেটা ভাবতে হবে। সে যদিও ভিনগ্রহের, তারপরও মাঝে মাঝে অন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

কাতার বিশ্বকাপ দি মারিয়ার চতুর্থ বিশ্বকাপ। চোটের সঙ্গে দি মারিয়ার সখ্য অনেক দিনের। চোটের কারণে খেলতে পারেননি ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনাল। কাতার বিশ্বকাপের আগেও লড়াই করেছেন চোটের সঙ্গে। বারবার চোটে পড়ার প্রভাব পড়েছে পারফরম্যান্সেও। যে কারণে অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাকে।

দি মারিয়া বলেছেন সে কথাও, ‘যত সংখ্যক খেলোয়াড় আর্জেন্টিনায় আছে, তাতে এতগুলো বছর আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা সহজ নয়। আমি অনেক সমালোচনা শুনেছি। আমি আর্জেন্টিনার হয়ে ১২৪ ম্যাচ খেলেছি, আমার মনে হয় এতগুলো ম্যাচ সবাই খেলতে পারবে না।’