ইউরোপার ফাইনালে মুখোমুখি দুই অজেয়

ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে জোসে মরিনিওর রোমাছবি: রয়টার্স

পুরো নব্বই মিনিটে একটি শটও পোস্টে রাখতে পারেনি রোমা। শট পোস্টে রাখা বা গোল করা জরুরি ছিলও না। জরুরি ছিল নিজেদের জাল অক্ষত রাখা। কাল রাতে বেয়ার লেভারকুসেনের মাঠে সেটিই নিশ্চিত করেছে রোমা। সেমিফাইনাল ফিরতি লেগ গোলশূন্য ড্র করেছে রোমা। তাতে প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে জোসে মরিনিওর দল। সেমিফাইনাল ফিরতি লেগের আরেক ম্যাচে জুভেন্টাসকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে উঠেছে সেভিয়া।

মরিনিও উয়েফা আয়োজিত প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলেন ষষ্ঠবারের মতো, আর দল হিসেবে ইউরোপা লিগে সেভিয়ার এটি সপ্তম ফাইনাল। কোনো পক্ষই এর আগে ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টের ফাইনাল হারেনি।

ইউরোপা লিগ সেমিফাইনাল ফিরতি লেগ এই দুই ম্যাচের মধ্যে নাটকীয়তা ছিল সেভিয়া-জুভেন্টাস ম্যাচে। তুরিনে প্রথম লেগে পিছিয়ে পড়েও নব্বই মিনিটের গোলে ১-১ সমতা এনেছিল জুভেন্টাস। এবার সেভিয়ার মাঠে তৈরি হয় উল্টো দৃশ্যের।

৬৫ মিনিটে জুভেন্টাস এগিয়ে যায় দুসান ভ্লাহোভিচের গোলে। পাঁচ মিনিট পরই সেভিয়াকে সমতায় নিয়ে আসেন সুসো। দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ সমতায় নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

জুভেন্টাসের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় এরিক লামেলার গোলে জয় পায় সেভিয়া
ছবি: রয়টার্স

৯৫ মিনিটে সেভিয়াকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল এনে দেন এরিক লামেলা। বাকি সময়ে এই ব্যবধান ধরে রেখে ফাইনাল নিশ্চিত করে ৬ বারের ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

আরও পড়ুন

একই সময়ে জার্মানির বে অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত লেভারকুসেন-রোমা ম্যাচে অবশ্য কোনো নাটকীয়তাই ছিল না। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোলের দেখা পায়নি লেভারকুসেন। লক্ষ্যে ৬টি সহ মোট ২৩টি শট নেয় লেভারকুসেন, কিন্তু মাঠ ছাড়তে হয় মাত্র একটি শট নেওয়া রোমার মতো ০ স্কোরলাইন নিয়ে। আগের লেগে ১ এগিয়ে থাকায় দুই লেগ মিলিয়ে রোমাই হেসেছে শেষ হাসি।

লেভারকুসেন–রোমা ম্যাচে কেউ গোল করতে পারেনি
ছবি: রয়টার্স

তিনবার ইতালির সিরি আ জেতা রোমা ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠল এই প্রথম। গত মৌসুমে উয়েফার তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা ইউরোপা কনফারেন্স লিগ জিতেছিল মরিনিওর অধীনে খেলা ক্লাবটি। বর্ণাঢ্য কোচিং ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ষষ্ঠবার উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেন মরিনিও।

আরও পড়ুন

আগের পাঁচবারের মধ্যে পোর্তো ও ইন্টার মিলানকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পোর্তোকে নিয়ে ইউরোপা লিগ এবং রোমাকে কনফারেন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিলেন। জিতেছেন সব কটিতেই। ৬ বার ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলা সেভিয়াও কখনো রানার্সআপ হয়নি।

ফাইনালে দুই অজেয় দল মুখোমুখি হবে ৩১ মে বুদাপেস্টে।

আরও পড়ুন