গালাগাল, হুমকি ও দেয়ালচিত্র নষ্ট—তবু বার্সেলোনায় না গিয়ে বিলবাওতে থাকবেন নিকো উইলিয়ামস

অ্যাথলেটিক বিলবাও ছেড়ে বার্সেলোনায় যাওয়ার কথা ছিল নিকো উইলিয়ামসের। কিন্তু আকস্মিকভাবে সিদ্ধান্ত বদলে বিলবাওতেই থেকে যাচ্ছেন এই উইঙ্গার।

বার্সাতে না গিয়ে বিলবাওতেই থাকবেন নিকো উইলিয়ামসইনস্টাগ্রাম

ইউরোপিয়ান দলবদলে শেষ কথা বলে কিছু নেই, এই কথাটি বোধ হয় অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সমর্থকেরা ভুলেই গিয়েছিল। নিকো উইলিয়ামসের বার্সেলোনায় যাওয়ার গুঞ্জন যতই বাড়ছিল, ততই বাড়ছিল বিলবাও সমর্থকদের ক্ষোভের প্রকাশ। হুমকি দেওয়া, দেয়ালচিত্র নষ্ট করা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গালাগালসহ কিছুই করতে বাকি রাখেনি তারা।

বিলবাও সমর্থকদের ভাষ্য ছিল, যে ক্লাবে থাকতে চায় না এবং দলের হয়ে শিরোপার জন্য লড়তে চায় না তার জন্য কান্নাকাটির কিছু নেই। কিন্তু এত নাটকীয়তার পর পুরো দৃশ্যপটই এখন এক মুহূর্তে বদলে গেল। নতুন খবর হচ্ছে, নিকো উইলিয়ামসের বার্সেলোনা যাওয়া হচ্ছে না।

৮ বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বিলবাওতেই থাকা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। আগে তাঁর চুক্তি ছিল ২০২৭ সাল পর্যন্ত। এর ফলে বার্সেলোনা সমর্থকদের লামিনে ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামসকে জুটি বাঁধতে দেখার স্বপ্নও অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে নিকো উইলিয়ামসের থেকে যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে বিলবাও। বিবৃতিতে ক্লাবটি জানায়, ‘লাল–সাদা জার্সির উইঙ্গার আগামী ১০ মৌসুম তাঁর প্রাণের ক্লাবটিতেই থাকবেন। তাঁর রিলিজ ক্লজ আগের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।’ আগের চুক্তিতে নিকো উইলিয়ামসের রিলিজ ক্লজ ছিল ৫ কোটি ৮০ লাখ ইউরো।

নিকো উইলিয়ামস
ইনস্টাগ্রাম

বিলবাওয়ের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর এক ভিডিও বার্তায় নিকো উইলিয়ামস বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যে বিষয়টি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো হৃদয়ের ডাকে সাড়া দেওয়া। আমি সেখানেই আছি, যেখানে কাছের মানুষদের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি। এটা আমার ঘর।’

২০১৩ সালে বিলবাওয়ের বয়সভিত্তিক দলে যোগ দেন উইলিয়ামস। ক্লাবটির হয়ে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন ২০২১ সালে। এই ক্লাবের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৭ ম্যাচ খেলেছেন উইলিয়ামস। দলের হয়ে ২০২৩–২৪ মৌসুমে কোপা দেল রে শিরোপাও জিতেছেন তিনি।

আরও পড়ুন

নিকো উইলিয়ামস আত্মার টানের কথা বললেও, তাঁর সিদ্ধান্ত বদলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বার্সেলোনার অর্থনৈতিক জটিলতা। বিশেষ করে দানি ওলমোর মতো নিবন্ধনজনিত সমস্যায় পড়তে চাননি তিনি। যা তাঁর সিদ্ধান্ত বদলে বিলবাওয়ে থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রেও হয়তো বড় ভূমিকা রেখেছে।