আজ চট্টগ্রামে শুরু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল উৎসব

চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সম্মেলনকক্ষে সে কী উত্তেজনা! অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ম্যানেজার ও অধিনায়কদের কৌতূহলের আর শেষ হয় না। টুর্নামেন্টের খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসার শেষ নেই। এত সব প্রশ্ন, এত সব উচ্ছ্বাস পর্দা উঠতে যাওয়া ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টকে ঘিরে।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম অঞ্চলের খেলা দিয়ে শুরু হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নেবে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনির্ভাসিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম। সারা দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে। চট্টগ্রাম পর্বে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে আটটি দল অংশ নেবে। এখান থেকে সেরা দুটি দল ঢাকায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। তার আগে কুমিল্লায়ও তিন দলের অংশগ্রহণে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রাম পর্বের উদ্বোধনী পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। নকআউট ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার চট্টগ্রাম পর্ব শেষ হবে আগামীকাল শনিবার।

চট্টগ্রামের অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ম্যানেজার ও অধিনায়কদের নিয়ে টুর্নামেন্টের এক প্রস্তুতি সভা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক ও সিজেকেএসের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান। সভায় টুর্নামেন্টের বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা ছিল চোখে পড়ার মতো।

সবার একটাই চাওয়া, যাতে কোনো অছাত্র এই টুর্নামেন্টে খেলতে না পারেন। এ ব্যাপারে যেন কমিটি শক্ত ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এ টুর্নামেন্ট যেন নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। কেউ কেউ টুর্নামেন্টের সব খেলা লাইভ সম্প্রচারেরও দাবি জানান।

হাফিজুর রহমান তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলায় যে এগিয়ে এসেছে, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এটির সফলতা নির্ভর করছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ওপর। সবাইকে টুর্নামেন্টের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। কেউ যেন কোনো ধরনের অবৈধ খেলোয়াড় টুর্নামেন্টে না খেলায়।

পরিচালনা কমিটির সদস্য বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি আলী আব্বাস তো বললেন, সব দলকে বন্ধুত্বসুলভ মানসিকতা নিয়ে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রথম আলোর এ উদ্যোগ ক্রীড়াঙ্গনের জন্য একটা ইতিবাচক দিক।

এতে আরও বক্তব্য দেন কমিটির সদস্যসচিব প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী , ইস্পাহানি গ্রুপের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, সিজেকেএসের নির্বাহী সদস্য আবুল হাশেম, রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান ও প্রথম আলো ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

চট্টগ্রামে অংশগ্রহণকারী বাকি ছয়টি দল হচ্ছে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি, চট্টগ্রাম ইনডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটি, সাদার্ন ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম দিন হবে চারটি ম্যাচ। জয়ী চার দল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেবে আগামীকাল।

চট্টগ্রাম পর্বের পর ১৬ জুলাই কুমিল্লা অঞ্চলের খেলা। খেলা হবে ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। ১৮ জুলাই ঢাকায় আঞ্চলিক পর্ব শুরু শেষে চূড়ান্ত পর্বও হবে ঢাকায়। ২৯ জুলাই ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে। ঢাকা অঞ্চলের খেলা হবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এরই মধ্যে টুর্নামেন্টের ট্রফি ঘুরে এসেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন শুধু বাঁশি বাজার অপেক্ষা।