হামজার প্রক্রিয়া বাফুফেই এগিয়ে নিচ্ছে

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরীইনস্টাগ্রাম

হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশি পাসপোর্টের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বুধবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে মা ও বাবার সঙ্গে গিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। শিগগিরই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটির এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পাবেন। এটি তিনি নিজেই জানিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলার যত প্রক্রিয়া আছে, পাসপোর্ট হচ্ছে প্রথম পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন

বাফুফের সহসভাপতি ও জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘বাফুফে বেশ আগে থেকেই হামজা চৌধুরীকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলানোর ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটি চলমান একটি প্রক্রিয়া। এ লক্ষ্যে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার ব্যাপারটিও চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বাফুফের তরফ থেকে এ ব্যাপারে তাকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। আমি নিজেই লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি।’

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশে পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছেন
ইনস্টাগ্রাম

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমকে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘হামজা কখনোই আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেনি। সে আমাকে বলুক, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। সাত দিনের মধ্যে সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন

এ ব্যাপারে হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ানের কথা, ‘বাফুফেই হামজার সব প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। সভাপতি মহোদয় নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে সবকিছু জানেন। তবে হামজা নিশ্চয়ই তাঁর সঙ্গে কথা বলবে।’

হামজাকে বাংলাদেশের পক্ষে খেলানোর প্রক্রিয়া বাফুফেই এগিয়ে নিচ্ছে
প্রথম আলো

তবে হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর ব্যাপারে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কাজী নাবিলের কথা, ‘আমরা প্রাথমিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছি। এরপর আরও কিছু প্রক্রিয়া আছে। সবকিছু যেন সুন্দরভাবে হয়, সে ব্যাপারে আমরা হামজাকে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছি। পাসপোর্ট, অনুমতি—এসব আমরা নিয়ে রাখছি। বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামার বিষয়টি তো এর পরের ব্যাপার।’

আরও পড়ুন

বুধবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে হামজা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমার মা ও বাবাকে সঙ্গে নিয়ে আজ (বুধবার) হাইকমিশনে গেছি। প্রয়োজনীয় সব কাগজ জমা দিয়েছি। আশা করি, দু-এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পাব। হাইকমিশনে সবাই খুব সহযোগিতা করেছেন।’