রোনালদো এখন ‘কচিকাঁচাদের’ শিক্ষক
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। চলতি মৌসুমে বেশির ভাগ ম্যাচেই তাঁকে খেলতে হয়েছে বদলি হিসেবে। এমন খারাপ সময়েও অবশ্য কীর্তি গড়ে চলেছেন সিআর সেভেন। এভারটনের বিপক্ষে সর্বশেষ লিগ ম্যাচে গোল করে ক্লাব ফুটবলে ৭০০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন পর্তুগিজ তারকা। রোনালদোর মতো একজন খেলোয়াড়ের দলে থাকা যেকোনো দলের জন্য আশীর্বাদও বটে।
মাঠের পারফরম্যান্সে যতই ভাটার টান পড়ুক, ইউনাইটেডে নিজের সময়টা একেবারে অপচয়ও করছেন না ৩৭ বছর বয়সী তারকা। ক্লাবের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য শিক্ষকের ভূমিকায় কাজ করছেন রোনালদো। যদিও এই দায়িত্ব ক্লাব তাঁকে দেয়নি, তরুণদের পথ দেখানোর কাজটা তিনি করছেন নিজের গরজেই।
মৌসুম শুরুর আগেই ইউনাইটেড ছাড়তে চেয়েছিলেন রোনালদো। তবে কাঙ্ক্ষিত ক্লাবগুলোর কাছ থেকে ঠিকঠাক সাড়া না পাওয়ায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে থেকে যেতে হয় তাঁকে। এরপর বেঞ্চ গরম করেই কেটেছে বেশির ভাগ সময়।
ঠিকঠাক খেলতে না পেরে একেবারেই খুশি ছিলেন না রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান তারকা আন্তোনি ইউনাইটেডে আসায় রোনালদোর লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে যায়।
আন্তোনি অবশ্য বলেছেন, রোনালদোর কারণে ইউনাইটেডে তাঁর কাজটা কঠিন নয়, বরং সহজ হয়ে গেছে। বড় মঞ্চের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে প্রতিনিয়ত পর্তুগিজ মহাতারকার কাছ থেকে শিখছেনও এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। শুধু আন্তোনিই নন, দলের অন্য তরুণদের সঙ্গেও নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে সাহায্য করছেন রোনালদো।
রোনালদোর কারণে ইউনাইটেডে মানিয়ে নেওয়া কতটা সহজ হয়েছে, তা জানাতে গিয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা আন্তোনি বলেছেন, ‘আমি আসার পর থেকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। রোনালদোই আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করছে। সে আমার সঙ্গে অনেক কথা বলেছে। এমনকি ম্যাচের দিনও সে অনেক কিছু বলে। আমাকে সে শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকার কথা বলে। ফুটবলে সে অনেক কিছু অর্জন করেছে। আমি তার কাছ থেকে প্রতিদিন অনেক কিছু শিখছি। তরুণদের শেখানোর জন্য এমন একজন অভিজ্ঞ মানুষ পেয়ে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
আন্তোনির বয়স এখন মাত্র ২২ বছর। ফুটবলের সেরা সময়টা এখনো আসতে হয়তো বাকি। এমন অবস্থায় রোনালদোর মতো কারও সঙ্গ পাওয়াটা যেকোনো তরুণ ফুটবলারের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
আন্তোনিও বলেছেন রোনালদোর কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা বাকি জীবনে নিজের সঙ্গে রেখে দেবেন তিনি, ‘সে মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী। দারুণ বুদ্ধিমান। সামনের দিকে চোখে রাখাই তার মানসিকতা। এসব আমি তার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করছি এবং বাকি জীবনে এগুলোকে আঁকড়ে ধরব।’