কেন জার্মানির কোচ হতে পারবেন না, জানালেন ক্লপ

লিভারপুল বস ইয়ুর্গেন ক্লপছবি: রয়টার্স

নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম বাজে সময় পার করছে জার্মানি। পরপর দুটি বিশ্বকাপে (২০১৮ ও ২০২২) গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এমনকি বিশ্বকাপের পর দল গোছানোর কাজটাও ঠিকঠাক করতে পারছে না তারা। সর্বশেষ ১৬ ম্যাচে মাত্র ৪টিতে জিতেছে জার্মানরা, বিশ্বকাপের পর খেলা ৫ ম্যাচে জয় মাত্র একটি। পেরুর বিপক্ষে পাওয়া সেই জয়টি ছাড়া হেরেছে ৩ ম্যাচে এবং ড্র করেছে অন্য একটি ম্যাচে।

দলের এমন ব্যর্থতায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে কোচ হান্সি ফ্লিকের কৌশলও। যেকোনো মুহূর্তে তাঁর ছাঁটাই হওয়ার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। তাঁর বিকল্প হিসেবে শোনা যাচ্ছিল লিভারপুলের জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের নাম। জার্মানির কোচ হওয়ার গুঞ্জন নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ক্লপ নিজেও। জাতীয় দলের কোচ হওয়া ‘সম্মানের’ মনে করলেও এই মুহূর্তে দায়িত্ব নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই কোচ।

আরও পড়ুন

২০১৬ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে লিভারপুলে আসেন ক্লপ। লিভারপুলের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করে দলটিকে প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাও জিতিয়েছেন এই কোচ। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় গত বছর ক্লপের সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তিও বাড়িয়েছে লিভারপুল। এই চুক্তি ভেঙে লিভারপুল ছেড়ে জার্মানির দায়িত্ব নেবেন কি না জানতে চাইলে ক্লপ বলেছেন, ‘জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়াটা দারুণ সম্মানের ব্যাপার হবে। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।’

কাজটা সম্মানের হলেও কেন এই দায়িত্ব নিতে পারবেন না তা ব্যাখ্যা করেন ক্লপ, ‘পুরো ব্যাপারটিতে যে বিষয় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা হলো আমার আনুগত্য। আমি এখন লিভারপুল ছেড়ে যেতে পারব না এবং বলতে পারব না যে স্বল্প সময়ের জন্য জার্মানির দায়িত্ব নেব। এভাবে হয় না। আর কেউ এমন অনুরোধও করেনি।’

আরও পড়ুন

এর আগে ক্লপ বলেছিলেন, অ্যানফিল্ডের ক্লাবটির দায়িত্ব শেষ করে তিনি ফুটবল থেকে বিরতি নেবেন। যদিও লিভারপুলের সঙ্গে সম্পর্কটা শিগগিরই শেষ করবেন, এমন কোনো খবর নেই। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি আমি কোনো এক পর্যায়ে কখনো (জার্মান দলের ) দায়িত্ব নিই, তবে আমার হাতে যথেষ্ট সময় থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে তা নেই। ক্লাবের প্রতি আমার দায়িত্ব রয়েছে। আসলে কাজটা খুব দারুণ। কিন্তু আমি এখনো জানি না লিভারপুল ছাড়ার পর আমি একেবারে ভিন্ন কিছু করব কি না। আমি বিকল্প পথগুলো খোলা রাখতে চাই।’