জাপানের কাছে হেরে চাকরি গেল জার্মান কোচের

হ্যান্সি ফ্লিককে আর জার্মানির ডাগআউটে দেখা যাবে নাছবি : টুইটার

এই তো ৩ বছর আগেই বায়ার্ন মিউনিখকে ট্রেবলসহ সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতিয়েছিলেন। ইওয়াখিম ল্যুভের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে এরপর থেকে তাঁর নামই বেশি উচ্চারিত হয়েছিল। জার্মানি জাতীয় দলের কোচ হয়েছেনও। কিন্তু ক্লাব আর আন্তর্জাতিক ফুটবল যে এক নয়, সেটা শুরু থেকে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন হ্যান্সি ফ্লিক।

যে ফ্লিকের অধীনে বায়ার্ন প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল, সেই ফ্লিকের কোচিংয়ে জার্মানি যেন জিততেই ভুলে গিয়েছে! ঘরের মাঠে কাল রাতে জাপানের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়াটা জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফবি) অহমে বোধ হয় একটু বেশিই আঘাত দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্তটা তাই নিতেই হলো। জাপানের কাছে হারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফ্লিককে বরখাস্ত করল ডিএফবি।

১৯২৬ সালে জার্মান জাতীয় দলের প্রধান কোচের পদ সৃষ্টি করা হয়। ৯৭ বছরের ইতিহাসে চাকরি হারানো প্রথম কোচ ফ্লিক।

২০২১ সালের আগস্টে বিশ্বকাপ জয়ী কোচ ল্যুভের জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছিলেন ফ্লিক। তাঁর অধীনে ১৭ ম্যাচে মাত্র ৪টিতে জিতেছে জার্মানি। সর্বশেষ জয়টা ৬ মাস আগে। সব মিলিয়ে ৭৭০ দিন দায়িত্বে ছিলেন।

নিজেদের মাঠে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের ৯ মাস আগে নতুন কোচের সন্ধানে নামতে হচ্ছে জার্মান ফেডারেশনকে। সম্ভাব্য কোচ হিসেবে শোনা যাচ্ছে বায়ার্নেরই সাবেক কোচ ইউলিয়ান নাগলসমান ও আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের সাবেক কোচ অলিভার গ্লাসনারের নাম। এমনকি লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপকেও রাজি করাতে ডিএফবি উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো।

আরও পড়ুন

ফ্লিকের জায়গায় অন্তবর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া পরিচালক রুডি ফোলারকে। ৬৩ বছর বয়সী ফোলারের অধীনেই ২০০২ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে জার্মানি। মঙ্গলবার রাতে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচটা হতে যাচ্ছে জার্মানির ডাগআউটে ফোলারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট।

ফ্লিকের জায়গায় আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন ফোলার
ছবি : টুইটার

ফ্লিককে ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে ডিএফবি সভাপতি বার্নড নুয়েনডর্ফ বলেছেন, ‘ফুটবল বিশেষজ্ঞ হিসেবে হ্যান্সি ফ্লিক ও তাঁর সহকারীদের আমি সম্মান জানাই। কিন্তু আমাদের কাছে প্রধান অগ্রাধিকার হলো মাঠের সাফল্য। কমিটির সদস্যদের মনে হয়েছে সাম্প্রতিক হতাশাজনক ফলের পর ছেলেদের মূল দলকে অনুপ্রেরণা জোগাতে নতুন কাউকে দরকার; দলকে আশাবাদ ও আত্মবিশ্বাসের চেতনায় গড়ে তোলা দরকার। তাই সিদ্ধান্তটা অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে এটা (ফ্লিককে ছাঁটাই) আমার জীবনের অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্ত।’