তেল দিয়ে লেভানডফস্কির অভাব পূরণ করছে বায়ার্ন

বার্সায় যোগ দিয়েছেন লেভানডফস্কিছবি : টুইটার

বায়ার্ন মিউনিখের আক্রমণভাগে বড়সড় পরিবর্তন আসছে, সেটা আগেই নিশ্চিত হয়েছে।

ক্লাব ছেড়েছেন দুবারের ফিফা বর্ষসেরা তারকা রবার্ট লেভানডফস্কি, লিভারপুল থেকে এসেছেন সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। লেভানডফস্কি যেখানে পোড় খাওয়া স্ট্রাইকার, সেখানে উইংয়েই স্বচ্ছন্দ বিচরণ মানের। ফলে লেভানডফস্কির মতো প্রথাগত কোনো স্ট্রাইকারের দিকে বায়ার্ন হাত বাড়ায় কি না, প্রশ্ন ছিলই। ওদিকে লেরয় সানের মতো উইঙ্গারের অবস্থানও নড়বড়ে ক্লাবটায়।

মাথিস তেল
ছবি : টুইটার

এমন অবস্থায় ১৭ বছর বয়সী এক ফরাসি স্ট্রাইকারের জন্য আকাশছোঁয়া প্রস্তাব পাঠিয়ে সবার চোখ কপালে তুলে দিয়েছে বাভারিয়ানরা। বলা হচ্ছে, এ তরুণকেই ভাবা হচ্ছে লেভানডফস্কির বিকল্প হিসেবে।

স্তাদ রেনেঁর এই স্ট্রাইকারের নাম মাথিস তেল। ক্লাবের নামটা পরিচিত ঠেকছে? ঠেকাটা অস্বাভাবিক নয়। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ এই ক্লাব থেকে ফরাসি মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে দলে টেনেছিল। রেনেঁর বয়সভিত্তিক দলে আলো ছড়িয়ে কিছুদিন আগেই তেলের অভিষেক হয়েছে মূল দলে। ১৬ বছর ১১০ দিন বয়সে অভিষিক্ত হয়ে রেনেঁর মূল দলে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে কামাভিঙ্গার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই তরুণ। এর মধ্যে রেনেঁর হয়ে লিগে ৭ ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে ‘নতুন থিয়েরি অঁরি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই স্ট্রাইকারের।

বায়ার্নে কিছুদিন আগেই যোগ দিয়েছেন সাদিও মানে
ছবি : টুইটার

তেলের পেছনে দুই কোটি ইউরো খরচ করছে বায়ার্ন মিউনিখ। বলা হচ্ছে, বিভিন্ন পারফরম্যান্স বোনাস বাবদ রেনেঁকে তেল বাবদ আরও ৮০ লাখ ইউরো দেবে বায়ার্ন। আর সেটা হলে অনূর্ধ্ব-১৭ শ্রেণির খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়ে যাবে তেল। যে রেকর্ডটা এখন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যামের দখলে।

বার্মিংহ্যাম সিটি থেকে এই মিডফিল্ডারকে কিনতে সব মিলিয়ে আড়াই কোটি ইউরো খরচ করেছিল ডর্টমুন্ড। ২০২৭ সাল পর্যন্ত বায়ার্নের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে তেল।

বিখ্যাত দলবদলবিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রান্সফার মার্কেটের এরিয়া ম্যানেজার ফ্রান্স-রোনান ক্যারফ ‘গেগেনপ্রেসিং’ সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তেলকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘থিয়েরি অঁরি তেলের আদর্শ। অনূর্ধ্ব-১৭ ইউরোতে ওর খেলা দেখলেই অঁরির সঙ্গে ওর মিল খুঁজে পাবেন। যেভাবে ও প্রতিপক্ষ ডিফেন্স লাইনের পেছনে জায়গা খুঁজে বের করে, বা যেভাবে নিজের ডিফেন্ডারকে ছিটকে সামনে চলে যায়, সবকিছুতেই অঁরির সঙ্গে ওর মিল আছে।’