হলান্ডের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই দেখেন না গার্দিওলা

দারুণ ছন্দে আছেন হলান্ডছবি: রয়টার্স

আর্লিং হলান্ড—ইউরোপিয়ান ফুটবলে সৌরভের নাম এখন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লেখানোর পর থেকেই গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন হলান্ড। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে গত পরশু রাতে হ্যাটট্রিক করার পর তো তাঁকে নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গেছে।

কেউ তাঁকে তুলনা করছেন লিওনেল মেসির সঙ্গে। কেউ নিয়ে আসছেন ইব্রাহিমোভিচকে। অনেকে আবার সেরা সময়ের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছায়াও দেখছেন হলান্ডের মধ্যে।

ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক গোলকিপার পিটার স্মাইকেল হলান্ডের মধ্যে এমন কিছু দেখছেন, যেটা শুধু একজনের সঙ্গে তুলনা করে বোঝানো সম্ভব নয়। তাই তো তিনি ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যান সিটির ৬–৩ গোলের জয়ের পর বলেছেন, হলান্ড একের ভেতর অনেক!

চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের প্রস্তুতিতে সতীর্থ গ্রিলিশের সঙ্গে হলান্ড
ছবি: এএফপি

ম্যান সিটির স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা কোনো তুলনায় যাননি, তিনি হলান্ডকে এককথায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী বলে দিয়েছেন। আগামীকাল চ্যাম্পিয়নস লিগে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে ম্যাচ ম্যান সিটির। এই ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে হলান্ডের প্রশংসা করতে গিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘তার যা বয়স, আমি তো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী দেখি না। সংখ্যাগুলোই তো সব বলে দিচ্ছে!’

সতীর্থদের সঙ্গে হলান্ডের সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে। গার্দিওলা এখানেও হলান্ডকে পুরো নম্বরই দিয়েছেন, ‘এমন নয় যে একজন স্ট্রাইকার হিসেবে সে শুধু গোলই করে যাচ্ছে। তরুণ খেলোয়াড়, স্টাফ—সবাইকে সে অনুপ্রাণিত করে। ভালো মানুষের ক্ষেত্রে এমনই হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে পেপ গার্দিওলা
ছবি: এএফপি

হলান্ডকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ঝরে পড়েছে তাঁর সতীর্থ সের্হিও গোমেজের কণ্ঠেও। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার হলান্ডকে নিয়ে বলেছেন, ‘আমি যখন ডাগআউটে থাকি, তার খেলা উপভোগ করি। সে অসাধারণ। আমরা সবাই জানি, সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’

গোমেজ এরপর যোগ করেন, ‘তার গোলক্ষুধা আর উচ্চাশা—এসব দেখে আমি তার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি। সে এক গোলে সন্তুষ্ট থাকে না। ডার্বি ম্যাচে আমরা তৃতীয় গোলটি খাওয়ার পর সে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সে দলের আরও ভালো চাইছিল, চাইছিল যেন কোনো গোল হজম না করি। এটা দেখতে পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুন