আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকার শ্বশুরবাড়িতে বন্দুকধারীদের হামলা

আর্জেন্টিনার শিরোপাজয়ী তারকা নাহুয়েল মলিনার শ্বশুর ক্লাউদিও অকিউজ্জির বাড়িতে হামলা করেছে আটজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী। পরে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা নাহুয়েল মলিনাইনস্টাগ্রাম

২০২২ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপাজয়ী নায়কদের একজন নাহুয়েল মলিনা। সম্প্রতি আর্জেন্টিনাতে এই খেলোয়াড়ের শ্বশুরবাড়িতে নেমে এসেছিল ভয়াবহ এক বিপর্যয়। যে বিপর্যয়ে রীতিমতো জীবন নিয়ে সংশয়ে পড়েছিলেন মলিনার শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স এইরেসের লানুসে মলিনার শ্বশুর ক্লাউদিও অকিউজ্জির বাড়িতে হামলা করে আটজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী।

হামলাকারীরা ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ক্লাউদিওর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মারধর করে। পরবর্তী সময় স্থানীয় পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর বিস্তারিত বিবরণ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদ রাইটব্যাক মলিনার শ্বশুর ক্লাউদিও।

আরও পড়ুন

ক্লাউদিওর ভাষায়, ‘আমরা বসার ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম, হঠাৎ খাবারঘরের জানালার বাইরে শব্দ শুনতে পাই। এরপর আমি এগিয়ে যাই। কালো পোশাক পরা এক অপরাধী ঘরে ঢুকে আমার মাথায় বন্দুক ঠেকায়। এরপর আরও তিনজন আমার সঙ্গে ঘরে ঢুকে পড়ে। তারা আমাকে শোবার ঘরে নিয়ে যায়, নির্যাতন শুরু করে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তারা আমাকে মারধর করে এবং টাকা কোথায় রেখেছি, সেটা বলার জন্য জোর করতে থাকে।’

এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে তাদের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে ক্লাউদিও বলেন, ‘যখন তারা খাবারঘরের দরজা পার হলো, তখনই পুলিশের দিকে গুলি ছোড়া শুরু করল। ১০ থেকে ১৫টির বেশি গুলির শব্দ শুনেছি। একজন বাইরে পালায়, বাকি তিনজন আবার ঘরে ফিরে আসে। সেটাই ছিল সবচেয়ে ভয়ের মুহূর্ত। আমি সত্যিই ভেবেছিলাম ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। হয়তো ওরা ভেবেছিল আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি।’

ক্লাউদিও আরও বলেন, ‘ওরা পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে চাচ্ছিল, তাই আমি তাদের সঙ্গে গিয়ে গেট খোলার চেষ্টা করি, যেটাতে তালা লাগানো ছিল। আমি এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম যে তালাটা খুলতেই পারছিলাম না। ওরা বারবার আমার মাথায় রিভলবার ঠেকাচ্ছিল এবং ট্রিগার টানছিল।’

আরও পড়ুন

এই ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীদের ধাওয়া করে বুয়েনস এইরেসের পুলিশ। আটজন হামলাকারীর মধ্যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও বাকি পাঁচজন পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয়েছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ও চুরির সরঞ্জাম। পুলিশ ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে বলে জানিয়েছে মার্কা।