রিয়ালে যাওয়ার আগেই মিলানে ‘বুকিং’ দিলেন এমবাপ্পে

পিএসজির জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেএএফপি

ফরাসি লিগ ও ফ্রেঞ্চ কাপ জিতে পিএসজি অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। পিএসজি ছাড়লেও এখনো তাঁর পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে চূড়ান্ত কোনো খবর আসেনি। তবে ইউরোপের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম ফরাসি তারকার পরবর্তী ঠিকানা হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদের নাম জানিয়েছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়াল এমবাপ্পেকে দলে টানার ঘোষণা দেবে বলেও জানিয়েছে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম।

দলবদলের এসব আলাপের মধ্যেই এমবাপ্পে অন্য একটি ক্লাব নিয়ে নিজের আগ্রহের কথা বলেছেন। কিছুটা অবাক করার মতো হলেও এমবাপ্পে বলেছেন, তিনি যদি কোনো দিন ইতালিতে খেলতে যান, তবে এসি মিলানেই যাবেন। একসময়ের এ ইউরোপিয়ান পরাশক্তিকে নিয়ে এমবাপ্পে বলেছেন, ‘যদি আমাকে কোনো দিন ইতালিতে যেতে হয়, তবে আমি এসি মিলানে যেতে চাই। আমি শৈশব থেকেই এসি মিলানের অনেক বড় ভক্ত। সিরি আতে আমি তাদের সব ম্যাচ দেখতাম।’

আরও পড়ুন

এমবাপ্পের কখনো এসি মিলানের হয়ে খেলার স্বপ্ন পূরণ হবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে আপাতত তিনি নাকি মাদ্রিদে বসতি গড়ার পরিকল্পনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, মাদ্রিদে এখন বাসা খোঁজায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এমবাপ্পে।

আর এ জন্য তিনি শরণাপন্ন হয়েছেন রিয়াল কিংবদন্তি ও পিএসজিতে এমবাপ্পের সাবেক সতীর্থ সের্হিও রামোসের। এমবাপ্পে লা মোরালেজাতে রামোসের মালিকানাধীন অন্তত দুটি বাড়ির একটি নেওয়ার কথা ভাবছেন। লা মোরালেজায় আরও বেশ কজন ফুটবল তারকা বসবাস করেন।

সম্প্রতি ক্রিকেটার ক্রিস গেইল ও মার্কিন ডিজে ডিপলোর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল এমবাপ্পেকে
ইনস্টাগ্রাম

এমবাপ্পে থাকার জন্য মাদ্রিদের লা মোরালেজার উত্তর-পূর্ব অংশকেই বিশেষভাবে প্রাধান্য দিচ্ছেন। মূলত রিয়ালের অনুশীলনের মাঠ থেকে কাছাকাছি জায়গা হওয়াতেই এলাকাটিতে থাকার ইচ্ছা বিশ্বকাপজয়ী এ ফরোয়ার্ডের। এ এলাকা থেকে রিয়ালের অনুশীলন মাঠে যেতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। এ ছাড়া এমবাপ্পের পরিকল্পনায় লা ফিনকা নামের এলাকাটিও আছে। তবে লা ফিনকা থেকে অনুশীলন মাঠে কিছুটা বেশি সময় লাগবে।

থাকার জন্য এমবাপ্পের লা মোরালেজাকে বেছে নেওয়ার আরও একটি কারণ আছে। সেটি হচ্ছে ২৫ বছর বয়সী এ ফুটবলারের গলফের প্রতি প্রেম। এই অঞ্চলে থাকলে ‘গলফ লা মোরালজা’ নামের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির সদস্য হয়ে সেখানে গলফ খেলার সুযোগ পাবেন এমবাপ্পে। আর এই সুযোগটিও হাতছাড়া করতে চান না তিনি।
তবে অন্য সমস্যাও আছে। এই অঞ্চলে নাকি কেনার জন্য খুব বেশি বাড়ি পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন

আর এ কারণেই এমবাপ্পের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন রামোস। বাসা খোঁজায় সাহায্য করার পাশাপাশি রামোস নাকি এমবাপ্পেকে স্পেনের জীবনযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন। তবে একটি বড় সমস্যার এরই মধ্যে সমাধান করে রেখেছেন এমবাপ্পে। সেটি হচ্ছে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলা। কিছু দিন আগে থেকেই নাকি এমবাপ্পে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলা শিখছেন। এরই মধ্যে এ ভাষা নাকি ভালোই রপ্ত করেছেন তিনি। এখন অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শেষে তাঁর রিয়ালে যোগ দেওয়ার।