মেসিকে নিয়ে লোকে বেশি কথা বলে

পিএসজি তারকা লিওনেল মেসিছবি: এএফপি

বার্সেলোনায় দীর্ঘদিন সতীর্থ ছিলেন দুজন। ডান প্রান্ত দিয়ে ছুটন্ত দানি আলভেজের পাস থেকে মেসির গোল—বার্সার খেলায় এক সময় মোটামুটি চিরায়ত দৃশ্য ছিল এটি।

তবে শুধু সতীর্থ বললে ভুল হয়, মেসি ও আলভেজের সম্পর্কে বন্ধুত্বের আমেজও টের পাওয়া যায়। অথচ, সেই মেসির জন্যই আলভেজ কি না এখন দুশ্চিন্তায়!

কাতালান ক্লাবটিতে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করে গত জুলাইয়ে মেক্সিকান ক্লাব ইউনিভার্সিদাদ ন্যাসিওনালে যোগ দিয়েছেন আলভেজ। সর্বকালের অন্যতম সেরা রাইটব্যাকদের কাতারে বিবেচিত হওয়া ৩৯ বছর বয়সী আলভেজ পেশাদার ফুটবলে সর্বোচ্চসংখ্যক শিরোপাজয়ী খেলোয়াড়ও। এ পর্যন্ত ৪৩টি শিরোপা জিতেছেন আলভেজ।

ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ জয়ের পর মেসি
ছবি: এএফপি

শিরোপা জয়ের এই তালিকায় মেসি তাঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন। তাই দুশ্চিন্তা তো হবেই! পিএসজির হয়ে কাল রাতে ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ জিতেছেন মেসি। নঁতেকে ৪–০ গোলে হারায় পিএসজি, যেখানে একটি গোলও করেন মেসি। এ নিয়ে পেশাদার ফুটবলে ৪১টি শিরোপা হয়ে গেল মেসির। আলভেজকে টপকে যেতে চাই আর তিন শিরোপা।

তবে শিরোপা জয়ে আর্জেন্টাইনদের মধ্যে মেসির ধারে–কাছেও কেউ নেই। ৪১ শিরোপাজয়ী মেসির চেয়ে বেশ পিছিয়ে দুইয়ে আছেন জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন উইঙ্গার আনহেল দি মারিয়া। ৩২টি শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। সাবেক মিডফিল্ডার লুচো গনজালেজ জিতেছেন ৩১টি শিরোপা এবং খেলা ছেড়ে কিছুদিন আগে কোচিংয়ে নেমে পড়া কার্লোস তেভেজ জিতেছেন ৩০টি।

পিএসজির হয়ে এটাই প্রথম শিরোপা নয় মেসির। ফরাসি ক্লাবটির হয়ে এর আগে লিগ জিতেছেন। তবে গত বছর বার্সেলোনা থেকে মেসিকে উড়িয়ে আনার পেছনে পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নও বড় প্রভাবক ছিল। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে পিএসজি ক্লাবে ‘তারার হাট’ বসিয়েছে এই শিরোপা জয়ের জন্য।

কিন্তু মেসি–নেইমার–এমবাপ্পেদের নিয়ে গত মৌসুমেও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেনি পিএসজি। এরপরই কথা উঠেছিল, পিএসজি মেসিকে রাখবে তো? যদিও পরিস্থিতি সেদিকে গড়ায়নি। ৩৫ বছর বয়সী মেসির ফর্ম পড়ে গেছে এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। ক্লাব সতীর্থকে নিয়ে লোকের এসব কথায় বিরক্ত নেইমার।

নঁতের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন ব্রাজিল তারকা। তাঁর পাস থেকে গোল পেয়েছেন মেসিও। এই ম্যাচের পর আর্জেন্টাইন সতীর্থকে আগলে রাখলেন নেইমার, ‘আমার মনে হয়, লোকে (মেসিকে নিয়ে) বেশি কথা বলে। (ক্লাবে) প্রতিদিন কী ঘটে কিংবা ভেতরে ভেতরে কী ঘটে—সেসব তো লোকে জানে না। লিও তো লিও–ই। সে কখনো পাল্টাবে না। সে সব সময় পার্থক্য গড়ে দেবে। আশা করি আমাদের তিনজনের সময় যেন ভালো কাটে। তিনজন বলতে আমি, লিও ও এমবাপ্পে। আমরা তিনজন ভালো থাকলে পিএসজিও ভালো থাকবে।’

সাম্প্রতিক সময়ে লোকের কথা নিয়ে পড়েছেন নেইমার। এর আগে প্রাক্‌–মৌসুম সফরে জাপানে একটি ম্যাচে ‘ডাইভ’ দেওয়ার জন্য সমালোচিত হন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা হাস্যরসের সৃষ্টি করে এবং সংবাদমাধ্যমেও সমালোচনা করা হয়। নেইমারের তা সহ্য হয়নি। পাল্টা উত্তরে টুইট করেন, ‘কিছু লোক জীবনে বলে লাথি না মেরেই উল্টাপাল্টা বকছে।’ সঙ্গে যোগ করেছিলেন, ‘লোকে বেশি কথা বলে, কিছু বোঝে না বলেই বেশি কথা বলে।’