নিজের জাত চেনাতে হলান্ডের লাগল ১২ মিনিট

নেমেই গোল পেয়েছেন হলান্ডছবি : এএফপি

তাঁকে দলে আনা হয়েছে এ কারণেই, যাতে ডি বক্সে আসা যেকোনো সুযোগই গোলে পরিণত হয়!

গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির আক্রমণভাগে রাহিম স্টার্লিং, গাব্রিয়েল জেসুস, রিয়াদ মাহরেজ, কেভিন ডি ব্রুইনা, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিশদের মতো খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁদের কেউই পাকা গোল শিকারি নন। তাতে সিটির লিগ জিততে সমস্যা না হলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে দলটা বুঝেছে সব সময় ‘ফলস নাইন’ নয়, ম্যাচ জেতার জন্য পুরোদস্তুর স্ট্রাইকারেরও দরকার হয়।

ফলাফল? এ মৌসুমে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডকে নিয়ে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি, যাতে গোলমুখে এমন এক খেলোয়াড় থাকে, যার গোল করতে কোনো সমস্যাই হয় না। ডি বক্সে আসা যেকোনো সুযোগকেই যিনি গোলে রূপান্তরিত করতে পারেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

সিটির জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচেই নিজের ওই গুণটার কথা বেশ ভালোভাবে সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন হলান্ড, মাঠে নামার ১২ মিনিটের মাথাতেই। আর ওই এক গোলেই আজ যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে বায়ার্ন মিউনিখকে প্রাক্‌-মৌসুমের প্রীতি ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।

হালকা চোট সমস্যা থাকার কারণে মেক্সিকোর ক্লাব আমেরিকার বিপক্ষে সিটির প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি হলান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেই গোলের জন্য বেশি অপেক্ষা করেননি। জ্যাক গ্রিলিশের দুর্দান্ত ক্রসে পাকা গোল শিকারির মতো পা ঠেকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সের্হিও আগুয়েরোর পর সিটিতে আরেক পাকা গোল শিকারি এসে গেছেন!

আগের দুই মৌসুম বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে কাটানো হলান্ডের কাছে বায়ার্ন মিউনিখ অনেকটা ‘চেনা শত্রু’-ই। যদিও এর আগে বায়ার্নকে হারানোর স্বাদ কখনো পাননি এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। প্রীতি ম্যাচ হোক আর যা–ই হোক, ক্লাব বদল করার পর বায়ার্নকে হারানোর সে স্বাদটাও পেয়ে গেলেন হলান্ড।

ডর্টমুন্ড ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছেন হলান্ড
ছবি: টুইটার

মাঠে নেমেই হলান্ডের গোল করা মুগ্ধ করেছে গার্দিওলাকে, ‘ও একটা গুরুত্বপূর্ণ গোল করেছে। গোল করার সময়ে ও একদম গোলকিপারের সামনেই ছিল। যদিও পুরোপুরি ছন্দে ফিরতে ওর আরও সময় লাগবে, কিন্তু আজ ৪৫ মিনিট খেলে ও নিজের জাত চিনিয়েছে। দেখা যাক, আগামী দিনগুলোতে হালকা চোট সমস্যাকে ও কীভাবে মোকাবিলা করে।’

মাসের শেষেই লিভারপুলের বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ড খেলতে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। জিতলেই মৌসুমটা শিরোপা জিতে শুরু করা যাবে। এই গোল করে সে ম্যাচের জন্য যেন আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছেন হলান্ড, ‘টানা সাত ম্যাচ হারের পর বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জিতলাম। যদিও লিভারপুলের বিপক্ষে আসল চ্যালেঞ্জ বাকি আছে, কমিউনিটি শিল্ডে।’