শিয়ারার ও কোলের তুলনায় হলান্ড কোথায়

অ‍্যান্ড্রু কোল, আর্লিং হলান্ড ও অ্যালান শিয়ারার

৩৪ গোল! প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে কোনো খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড এটাই। যে রেকর্ডের যৌথ মালিকানা এত দিন ছিল অ‍্যান্ড্রু কোল ও অ‍্যালান শিয়ারারের। গতকাল সেখানে আরও একজন ভাগ বসিয়েছেন—আর্লিং হলান্ড।

শিয়ারার ও কোল এই রেকর্ড গড়েছিলেন ৪২ ম্যাচের লিগে। আর হলান্ড তাঁদের সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন ৩৮ ম্যাচের লিগে মাত্র ৩০ ম্যাচ খেলেই। লিগে এখন পর্যন্ত সিটি খেলেছে ৩২ ম্যাচ। তাই আরও অনেক রেকর্ডের মতো এই রেকর্ডটাও যে কয়েক দিন পরেই হলান্ড শুধুই নিজের করে নেবেন, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই আসলে।

আরও পড়ুন

এমনকি এ মুহূর্তে পরিসংখ্যানেও কোল-শিয়ারারের চেয়ে ঢের এগিয়ে ম্যান সিটির এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। কতটা, সেটা কোল ও শিয়ারারের রেকর্ড গড়া মৌসুমের সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যাবে।

অ‍্যান্ড্রু কোল
নিউক্যাসল ওয়েবসাইট


অ‍্যান্ড্রু কোল রেকর্ডটা গড়েছিলেন নিউক্যাসলের হয়ে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে। তখন লিগ ৪২ ম্যাচের হলেও কোল খেলেছিলেন ৪০টি ম্যাচে। সব মিলিয়ে খেলেছিলেন ৩৫৯৭ মিনিট। অর্থাৎ প্রায় প্রতি ১০৬ মিনিটে একটা গোল করেছিলেন কোল। লিগ ছাড়াও ওই মৌসুমে এফএ কাপ ও লিগ কাপে খেলেছিল নিউক্যাসল। সব মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে কোলের গোল ছিল ৪১টি।

আরও পড়ুন
অ‍্যালান শিয়ারার
ব্ল্যাকবার্ন ওয়েবসাইট

ঠিক এর পরের মৌসুমেই কোলের সেই রেকর্ডে ভাগ বসান অ‍্যালান শিয়ারার, তখন তিনি খেলেন ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সে। ৪২ ম্যাচের সব কটি মিলিয়ে ৩৭৭২ মিনিট খেলেছিলেন শিয়ারার। অর্থাৎ প্রতি ১১১ মিনিটে একটা করে গোল ছিল তাঁর। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছিলেন ৪৯ ম্যাচে ৩৭ গোল।

এবার এখন পর্যন্ত ৩০ ম্যাচে হলান্ড খেলেছেন ২৪১২ মিনিট। মানে প্রতি ৭১ মিনিটে একটা গোল সিটির ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের। সব প্রতিযোগিতা মিলে ৪৪ ম্যাচে ৫০ গোল। সেখানে হিসাব করলে দেখা যাবে প্রতি ৬৮ মিনিটেই তাঁর একটা গোল!

আর্লিং হলান্ড
রয়টার্স

ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগের খেলোয়াড় হিসেবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এখন এভারটন কিংবদন্তি ডিক্সি ডিনের। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে ৬৩ গোল করেছিলেন ডিক্সি ডিন। লিগে এখনো ৬টা ম্যাচ বাকি সিটির, চ্যাম্পিয়নস লিগে অন্তত দুটি, এফএ কাপে একটি। এই ৯ ম্যাচের সব কটি যদি খেলেন এবং এই হারে গোল করে যান, ডিক্সি ডিনের সেই রেকর্ড ভেঙে দেওয়াও খুবই সম্ভব হলান্ডের জন্য।

আরও পড়ুন