চ্যাম্পিয়নস লিগে বাপ–বেটার দুই রকমের রাত

দিয়েগো সিমিওনে ও জিওভান্নি সিমিওনেছবি: টুইটার

একেই বলে হরিষে বিষাদ!

একদিকে অর্জনের আনন্দ, আরেক দিকে বিসর্জনের বেদনা। একই রাতে বিপরীত দুই অনুভূতি উপস্থিতি সিমিওনে পরিবারে। ইতালির নাপোলিতে ছেলে জিওভান্নি যখন জোড়া গোল করে রেকর্ডের উচ্ছ্বাসে ভাসছিলেন, বাবা দিয়েগো মাদ্রিদে ডুবে গেছেন শোকের সাগরে। আতলেতিকো মাদ্রিদের ডাগআউটে প্রায় এক যুগে এমন কঠিন রাত যে আর আসেনি দিয়েগো সিমিওনের।

আরও পড়ুন

চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতে গ্রুপ পর্বে দিয়েগো সিমিওনে ছিলেন আতলেতিকো মাদ্রিদের ডাগআউটে। ৫২ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন কোচের বড় ছেলে জিওভান্নি খেলেন নাপোলিতে।

গতকাল চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘এ’ গ্রুপের খেলায় রেঞ্জার্সের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন জিওভান্নি। নাপোলিও জয় পায় ৩-০ ব্যবধানে।
এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলেত নেমেছেন ২৭ বছর বয়সী জিওভান্নি। চার ম্যাচ খেলে গোলও ৪টি।

আরও পড়ুন

জিওভান্নির আগে আর্জেন্টাইনদের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম চার ম্যাচে ৪ গোল করেছেন আর একজনই, তাঁরই বাবা দিয়েগো সিমিওনে। নাপোলির মাটিতে বাবাকে ছুঁয়ে ফেলার কীর্তির কথাটি অবশ্য ম্যাচ শেষে জেনেছেন জিওভান্নি।

জিওভান্নি সিমিওনে খেলেন নাপোলিতে
ছবি: টুইটার

আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের মধ্যে বাবার পর তিনিই প্রথম চার ম্যাচে ৪ গোল করেছেন জানালে নাপোলি স্ট্রাইকার একপ্রকার বিস্ময়ই প্রকাশ করেন, ‘আমি জানতাম না তো! আমাদের পরিবার আসলে এভাবেই চলে। আমি সব সময়ই নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আজ ভালোও খেলেছি। কোচও স্বাধীনতা দিয়েছেন, যাতে আমি নিজের মতো করে খেলতে পারি।’

ছেলে যখন নাপোলিতে বাবার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন, বাবা দিয়েগো তখন স্পেনের রাজধানীতে মহা চ্যালেঞ্জের মুখে। শেষ ষোলোয় ওঠার জন্য লেভারকুসেনের বিপক্ষে জয় দরকার ছিল আতলেতিকোর। কিন্তু দিয়েগোর দল ম্যাচে দুবার ঘুরে দাঁড়িয়েও মাঠ ছেড়েছে ড্রয়ের হতাশা নিয়ে। যে ড্রয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট এখন আতলেটিতকোর।

আরও পড়ুন

৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ব্রুগা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পোর্তোর পয়েন্ট ৯। নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতলেও আতলেতিকোর পয়েন্ট হবে ৮। পয়েন্ট তালিকার ১ ও ২ নম্বরে থাকা দলকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না সিমিওনের দল। প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে লেভারকুসেনের সঙ্গে ২-২ ড্রয়েই।

আরও পড়ুন

আতলেতিকোতে ১১ বছরের ক্যারিয়ারে সিমিওনে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার শেষ ষোলোয় উঠতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে দিয়েগোকে জিজ্ঞেস করা হয়, ১১ বছরের আতলেতিকো ক্যারিয়ারে এটিই তাঁর সবচেয়ে কঠিন রাত কি না। এক শব্দের জবাবে দিয়েগো বলেন, ‘হ্যাঁ।’