জন্মদিনে মেসির অন্য রকম হ্যাটট্রিক

আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসিছবি: টুইটার

৩৬ পূর্ণ করলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজের প্রথম জন্মদিনটাকে এবার অন্যভাবেই রাঙালেন আর্জেন্টাইন তারকা। জন্মদিন উদ্‌যাপনে ফিরে গেছেন নিজের জন্মশহর রোজারিওতে। একই দিন ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন নিউয়েল’স কিংবদন্তি ম্যাক্সিমিলিয়ানো রদ্রিগেজ। এক সময়ের এই সতীর্থের বিদায়ী ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মেসিও। আর রদ্রিগেজের আবেগী ম্যাচটা হ্যাটট্রিক করে রাঙিয়েছেন এই মহাতারকা।

মেসির জন্মদিন ও রদ্রিগেজের বিদায় ম্যাচ—সব মিলিয়ে স্তাদিও মার্সেলো বিয়েলসা স্টেডিয়াম জেগে উঠেছিল অন্য রকম এক আবহে। পুরো স্টেডিয়াম এদিন তারাবাজি আর আলোর ঝলকানিতে রঙিন হয়ে উঠেছিল। রদ্রিগেজকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। পুরো আয়োজনে নিজের আবেগ লুকাতে পারেননি সাবেক এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার, ভিজেছে চোখও। ড্রেসিংরুমে নিজেদের নাম ও নম্বরের নিউয়েল’স জার্সি হাতে দেখা গেছে মেসি ও রদ্রিগেজকে।

আরও পড়ুন

পাশাপাশি নিউয়েল’স ওল্ড বয়েজ লিজেন্ডসের বিপক্ষে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল। সাবেক-বর্তমানদের এই মিলনমেলায় এদিন মাঠে নেমেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও। নিতান্ত প্রদর্শনী ম্যাচ হলেও এখানেও দ্যুতি ছড়িয়েছেন মেসি। প্রথমার্ধেই পূরণ করেছেন হ্যাটট্রিকও।

মেসি ও ম্যাক্সি রদ্রিগেজ
ছবি: টুইটার

ম্যাচের চার মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটা করেছেন ট্রেডমার্ক ফ্রিকে। গোলরক্ষকের মাথার ওপর ফ্লিক করে করেছেন নিজের দ্বিতীয় গোলটা। আর শেষ গোলটা করেছেন বুক দিয়ে বল নামিয়ে দুর্দান্ত এক ভলিতে করেছেন । দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য মেসি আর মাঠে নামেননি। ম্যাচে ৭-৫ গোলে জিতেছে নিউয়েল’সলিজেন্ড।

আরও পড়ুন

ম্যাচের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘সত্যি কথা হচ্ছে এটাএখানে আসার জন্য খুব সুন্দর একটা দিন ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে রদ্রিগেজকে সঙ্গ দিতে এখানে লোকেরা আজ এখানে এসেছে। আজকের দিনটা একেবারেই তাঁর।’

এরপর রোজারিওতে নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপন করা নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘অনেক দিন হয়ে গেল রোজারিওতে আমার পরিবারের সঙ্গে জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছি। এটা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথম জন্মদিন তাই এটা বিশেষ। আর রোজারিওতে আসাটা সব সময় বিশেষ। আমি আগেও বলেছিলাম, এবার আমাদের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ছিল। তবে অনেক অসাধারণ খেলোয়াড় এর মধ্যে চলে গেছে, যাঁরা দারুণ সব কাজ করে গেছেন। কিন্তু তারা শেষ শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।’