গোল করার পর পেনাল্টি হজম এবং তারপর দুঃখ প্রকাশ নেইমারের

গোল করার পর নেইমাররয়টার্স

গোল করলেন। বিরতির সময় সাক্ষাৎকার দিলেন। বিরতির পর তাঁর কারণে দল হজম করল পেনাল্টি। নেইমার এরপর দুঃখ প্রকাশ করলেন।

ব্রাজিলিয়ান সিরি আ–তে আজ মিরাসলের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে নেইমারের দল সান্তোস। ম্যাচের ৪ মিনিটে সান্তোসের করা গোলটি নেইমারের। তিন মাস পাওয়া গোলের আনন্দে মাঠেই আত্মহারা হয়ে যান নেইমার। লাওতারো দিয়াজের সুন্দর থ্রু পাস ধরেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের পেছন থেকে দৌড়ে বক্সে ঢুকে। এরপর যে দক্ষতায় গোলটি করলেন, তা দেখে অনেকের ব্রাজিলের ’৯৪ বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি রোমারিওকে মনে পড়তে পারে। বিরতির সময় নেইমার নিজেও সাক্ষাৎকারে রোমারিওকে স্মরণ করেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই হয়ে গেলেন খলনায়ক!

৬০ মিনিটে মিরাসল ডিফেন্ডার রেইনালদোকে নিজেদের বক্সে ফাউল করে বসেন নেইমার। বলে শট নিতে গিয়ে রেইনালদোর পায়েও আঘাত করেন। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজানোর পর স্পটকিক থেকে মিরাসলকে সমতাসূচক গোল এনে দেন রেইনালদো।

লাল কার্ড খাওয়ার পর বিমর্ষ নেইমার
রয়টার্স

পয়েন্ট ভাগাভাগিতে নেইমার অখুশি না হলেও দলকে পেনাল্টি হজম করানোর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সমর্থকদের কাছে। সেই ক্ষমা প্রার্থনায় অফিশিয়ালদের পরোক্ষভাবে খোঁচাও মারেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে নেইমার লেখেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়নশিপে অন্যতম সেরা দলের মুখোমুখি হয়েছি। জয়ের জন্য আমরা সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছি। আমার মতে, আরও বেশি কিছু প্রাপ্য ছিল আমাদের। দল ও সমর্থকদের অভিনন্দন, তাদের কারণেই পার্টিটি সুন্দর ছিল। আমরা একসঙ্গে শেষ পর্যন্ত পথ চলব। পুনশ্চ: পেনাল্টির জন্য দুঃখিত...এত রকম মানদণ্ড আছে যে কী বলব বুঝতে পারছি না। মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। লড়াই এখানে থামছে না। এগিয়ে যাও সান্তোস!’

আরও পড়ুন

৯ নভেম্বর ফ্ল্যামেঙ্গোর বিপক্ষে ম্যাচেও রেফারির কড়া সমালোচনা করেন নেইমার। এরপর পালমেইরাসের বিপক্ষেও একাদশের হয়ে মাঠে নামেন। মিরাসলের বিপক্ষে ম্যাচসহ এ নিয়ে টানা তিনটি ম্যাচে সান্তোসের একাদশের হয়ে খেললেন নেইমার। ব্রাজিল দলে তাঁর ফেরার চেষ্টায় ব্যাপারটি আশাব্যঞ্জক। সেই আশা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে গত ৪ আগস্টের পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে করা তাঁর প্রথম গোলটি। মাঠেই একটু নেচে, ধারাভাষ্যকারকে জড়িয়ে ধরে গোলটি পরিবারকে উৎসর্গ করেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তখন গ্যালারিতে তাঁর স্ত্রী ব্রুনা বিয়ানকার্দি ও দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

মেয়ের সঙ্গে নেইমার
রয়টার্স

বিরতির সময় দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোলটি নিয়ে নেইমার বলেন, ‘আমি ওয়ান-অন-ওয়ান কিংবা দুজন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে পারতাম। তারা আমাকে ওয়ান-অন-ওয়ান অবস্থায় ছেড়ে দেওয়ার পর (প্রতিপক্ষের) মুভমেন্ট বুঝেছি। পাসটাও দারুণ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে আমি স্নায়ুচাপে ভুগি না। রোমারিওর কাছ থেকে শিখেছি, অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসক যতটা শান্ত থাকেন, বক্সের ভেতর তার চেয়ে বেশি শান্ত থাকতে হয়।’

আরও পড়ুন