নেইমারের ‘বিশ্বমানের ডাইভ’ দেখেছেন?

গাম্বা ওসাকার বিপক্ষে ম্যাচের এক মুহূর্তে নেইমার। গোল পেলেও সমালোচিত হন ব্রাজিল তারকাছবি: এএফপি

‘বিশ্বমানের ডাইভ।’

টুইটারে খোঁচাটি মেরেছেন এক ফুটবলপ্রেমী। আরেকজনের খোঁচা, ‘সুইমিং পুলের ডাইভ!’ কেউ আবার অবাক, ‘লোকটা প্রাক মৌসুম প্রীতি ম্যাচেও ডাইভ দিচ্ছে!’ দু–একজনের প্রশ্ন, ‘দরকার ছিল? দল তো এমনিতেই জিতছে।’ ওসাকায় কাল পিএসজি প্রাক মৌসুম সফরে শেষ ম্যাচটি খেলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নেইমারকে নিয়ে এমন মন্তব্যে সয়লাব হয়ে যায়।

জে লিগের দল গাম্বা ওসাকার বিপক্ষে ৬–২ গোলে জিতেছে পিএসজি। লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল পেয়েছেন। সব মিলিয়ে বড় জয়ে ম্যাচটা দারুণভাবে শেষ করায় তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কথা ছিল পিএসজির। কিন্তু সেই ঢেঁকুর খানিকটা আটকে দিচ্ছে নেইমারের বিতর্কিত ডাইভ।

ম্যাচের তখন ৩১ মিনিট। পাবলো সারাবিয়ার গোলে ১–০ গোলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। বাঁ প্রান্তে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন নেইমার। ওসাকার ডিফেন্ডার জেন্টা মিউরা তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পায়ের কাজে তাঁকে ডজ দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্রাজিল তারকা। মিউরা পড়ে যাওয়ার সময় বাঁ পা দিয়ে বলের দখল নেওয়ার চেস্টা করেও পারেননি।

তাঁর পা গিয়ে লেগেছে নেইমারের ডান পায়ে, যা একদমই সামান্য ‘টাচ’ ছিল। পেনাল্টির বাঁশি বাজানোর মতো অপরাধ ছিল না। কিন্তু পিএসজি ফরোয়ার্ড শূন্যে লাফ দিয়ে এমনভাবে পড়ে যান, দেখে যে কেউ ভেবে নেবেন হয়তো খুব ব্যথা পেয়েছেন। রেফারিও পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কুণ্ঠা করেননি।

স্পটকিক থেকে নেইমারই দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন পিএসজিকে। প্রাক–মৌসুমে এটি তাঁর প্রথম গোল। ৬০ মিনিটে আরও একটি গোল করেন ব্রাজিল তারকা। তার আগে ৩৯ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে গোল করেন মেসি এবং ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচের শেষ গোলটি এমবাপ্পের।

অহেতুক ডাইভ দেওয়া এবং সামান্য বাধায়ই মাঠে পড়ে যাওয়া নিয়ে দুর্নাম আছে নেইমারের। ২০১৮ বিশ্বকাপে এভাবে খেলে সমালোচিত হয়েছিলেন। সামনে নভেম্বরেই কাতার বিশ্বকাপ। ব্রাজিলের হয়ে প্রস্তুত হচ্ছেন নেইমার।

মেসি ও নেইমারের সঙ্গে এমবাপ্পেও গোল পেয়েছেন
ছবি: এএফপি

এবার মৌসুম শুরুর আগে গুঞ্জন উঠেছিল পিএসজি নেইমারকে ছেড়ে দিতে চায়। ব্রাজিল তারকা কিন্তু ক্লাবটিতে থাকতে চান। গত সপ্তাহেও সংবাদকর্মীদের বলেছেন, ‘আমি থাকতে চাই। ক্লাবের সঙ্গে এখনো আমার চুক্তি আছে। তাই তারা আমাকে এমন কোনোকিছু (ছেড়ে দেওয়া) বলেনি। কারও কাছে আমার কোনোকিছু প্রমাণের নেই।’