রোনালদোর আরেক সতীর্থ মেসির দলে

রেনাতো সানচেসছবি : পিএসজি ওয়েবসাইট

এবার পিএসজি যেন মাঝমাঠ শক্তিশালী করার পণ নিয়েই দলবদলের বাজারে নেমেছে। আর সে লক্ষ্যে একের পর এক পর্তুগিজ মিডফিল্ডার দলে ভেড়াচ্ছে তারা।

বর্তমান যুগে কুশলী পর্তুগিজ খেলোয়াড়দের জোয়ার উঠেছে যেন। জাতীয় দলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অনেক সতীর্থই বড় বড় ক্লাবে নাম লেখাচ্ছেন নিয়মিত। বের্নার্দো সিলভা, রুবেন দিয়াস আর জোয়াও কানসেলো খেলছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে, রোনালদোর ক্লাব-সতীর্থ হয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও দিওগো দালোত। লিভারপুলে আছেন দিওগো জোতা ও ফাবিও কারভালিও, আতলেতিকো মাতাচ্ছেন জোয়াও ফেলিক্স। সেড্রিক সোয়ারেসের পাশাপাশি খেলানোর জন্য এবার আর্সেনাল নিয়ে এসেছে ফাবিও ভিয়েরাকে।

পিএসজিও কম যায় না। গত কয়েক মৌসুম ধরেই দলটায় খেলে যাচ্ছেন নুনো মেন্দেস, দানিলো পেরেইরার মতো পর্তুগিজ খেলোয়াড়েরা। এ মৌসুমে মাঝমাঠ শক্তিশালী করার জন্য সেই রোনালদোর দেশের দিকেই নজর দিয়েছে মেসি-নেইমারদের দল।

কিছুদিন আগেই এফসি পোর্তো থেকে চার কোটি ইউরোর বিনিময়ে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়াকে দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি। এবার ভিতিনিয়ার পিছু পিছু পিএসজি গেলেন রেনাতো সানচেস। ২০১৬ ইউরোর সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণের পুরস্কার পাওয়া সানচেস ফরাসি ক্লাব লিল থেকে পিএসজিতে গিয়েছেন দেড় কোটি ইউরোর বিনিময়ে।

আরও পড়ুন

সানচেসের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে পিএসজি। লিলের সঙ্গেই আগামী বছরই চুক্তি শেষ হওয়ায় কথা সানচেসের, ফলে মোটামুটি কম দামেই ২৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে পেয়েছে পিএসজি।

২০১৬ ইউরোর সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছিলেন সানচেস
ফাইল ছবি: এএফপি

এর আগে বায়ার্ন মিউনিখ, সোয়ানসি সিটির মতো ক্লাবেও খেলেছেন এই মিডফিল্ডার। বেনফিকার হয়ে আলো ছড়িয়ে, পর্তুগালকে ইউরো জিতিয়ে ২০১৬ সালে নাম লেখান বায়ার্নে, সাড়ে তিন কোটি ইউরোর বিনিময়ে। বায়ার্নে সেভাবে ভালো খেলতে না পারলেও লিলে ফিরে পেয়েছিলেন নিজের ফর্ম। গত বছর পিএসজিকে হারিয়েছিলেন জিতিয়েছিলেন লিগ। যে লিলের দায়িত্বে ছিলেন পিএসজির বর্তমান কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের, অর্থাৎ, সানচেসের ক্ষমতা বেশ ভালোই জানা আছে তাঁর।

আরও পড়ুন

পিএসজি ছাড়াও সানচেসের প্রতি আগ্রহী ছিল এসি মিলানের মতো ক্লাব। কিন্তু সানচেস ফ্রান্স ছাড়তে চাননি, ‘আমি নিশ্চিত, এই ক্লাবে এসে আমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। পিএসজি নির্বাচন করেছি, কারণ আমার মনে হয়েছে আমার জন্য এখন এটাই সঠিক প্রকল্প। ফ্রান্সে থাকাটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ আমি এই লিগের সঙ্গে পরিচিত।’