মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, আইসিইউতে ডাচ কিংবদন্তি ফন ডার সার

নেদারল্যান্ডসের সাবেক গোলরক্ষক এডউইন ফন ডার সারছবি: এএফপি

ক্রোয়েশিয়ায় পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডস, আয়াক্স ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি গোলরক্ষক এডউইন ফন ডার সার। সেখানে স্ট্রোকের (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) শিকার হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৫২ বছর বয়সী ফন ডার সারের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

আরও পড়ুন

আয়াক্সের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এডউইন ফন ডার সারের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’ ২০০৯ সালে ফন ডার সারের স্ত্রী অ্যানমেরিও স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন। পরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এর দুই বছর পর ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়েন ফন ডার সার। ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিতে ছয় বছরের ক্যারিয়ারে চারবার প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন।

তবে ফন ডার সারের উত্থান হয়েছিল আয়াক্সে থাকাকালে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ৯ বছরের ক্যারিয়ারে ডাচ ক্লাবটির হয়ে চারবার দেশের শীর্ষ লিগ জেতার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছিলেন টানা চারবার নেদারল্যান্ডসের বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারজয়ী ফন ডার সার। আয়াক্স ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলার মাঝে জুভেন্টাসে দুই মৌসুম এবং ফুলহামে চার মৌসুম কাটিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (১৩০) ম্যাচ খেলা এই কিংবদন্তি।

আরও পড়ুন

স্ত্রী অ্যানমেরি স্ট্রোকের শিকার হওয়ার পর নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত মারাত্মক সমস্যায় ভোগা মানুষদের চিকিৎসায় সাহায্য করে আসছিলেন ফন ডার সার। এখন নিজেই এই রোগের শিকার হলেন। ইউনাইটেড ছাড়ার পরের বছর ২০১২ সালে আয়াক্সের বোর্ডে যোগ দিয়ে ২০১৬ সালে ক্লাবের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

গত মে মাসে ক্লাবের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে এই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ডাচ লিগে তৃতীয় এবং ২০০৯ সালের পর এই প্রথমবারের মতো আয়াক্স চ্যাম্পিয়নস লিগে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার পর দায়িত্ব ছাড়েন ফন ডার সার।

ফন ডার সারের সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এডউইন, আমাদের সব ভালোবাসা ও শক্তি তোমার জন্য।’ ইউনাইটেডে ফন ডার সারের সাবেক সতীর্থ রিও ফার্ডিনান্ডও টুইট করেন, ‘এড একজন যোদ্ধা। ফন ডার সারের পরিবারের পাশেই আছি আমরা।’