চ্যাম্পিয়নস লিগের গত মৌসুম ছিল রেকর্ডে ভরপুর। ১১ বছর পর ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা পেয়েছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। ইস্তাম্বুলের সেই ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে অধরা শিরোপা জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ফাইনালে সিটির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন রদ্রি। সেটাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
শুধু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেই নয়; গত মৌসুমে আগে গোল করা দল বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জয় পেয়েছে। ড্র করে বা পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ার ঘটনা আরও বেশি। উয়েফার কৌশল ও পরিসংখ্যানগত উন্নয়ন বিভাগ পুরো মৌসুম পর্যালোচনার পর এ তথ্য দিয়েছে। ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত প্রত্যেক ম্যাচেই প্রযুক্তিগত পর্যবেক্ষক ও পারফরম্যান্স বিশ্লেষক রেখেছিল। নিয়োগ দিয়েছিল ২৬ জনকে। এ নিয়ে টানা ২৪ মৌসুম প্রতিবেদন প্রকাশ করল উয়েফা।
উয়েফা জানিয়েছে, গ্রুপ পর্বের প্রত্যেক ম্যাচে একাধিক পর্যবেক্ষক ছিলেন। নকআউট পর্ব থেকে ছিলেন একজন করে। তাঁরা ৩২ ক্লাবের কৌশলগত পদ্ধতিগুলো মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত মৌসুমে ১২৫ ম্যাচের (গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত) মধ্যে ১১৭টিতেই অন্তত একটি গোল হয়েছে; যা শতাংশের হিসাবে ৯৩.৬০ ভাগ। এর মধ্যে ৮৮ ম্যাচে বা ৭৫.২১ শতাংশ ক্ষেত্রে আগে গোল করা দল জয়ের তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। ড্র করেছে বা হার এড়িয়েছে ৯০ শতাংশ দল।
পর্যবেক্ষক দলের সদস্য প্যাকি বোনার মনে করেন, গত মৌসুমে প্রথম গোল দলগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান হিসেবে কাজ করেছে, ‘এটা (ম্যাচের প্রথম গোল) একটা দলকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। খেলোয়াড়রা চাপমুক্ত ও নির্ভার থেকে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পেরেছেন।’
বিপরীতে সর্বশেষ মৌসুমে আগে গোল খাওয়া দল বেশ চাপে পড়েছে। প্রায়ই তাদের পরিকল্পনা সমন্বয় করতে হয়েছে। সমতা আনতে গিয়ে হিতে বিপরীতও হয়েছে। মানে, গোল শোধ করতে গিয়ে আরও গোল খেয়েছে শুরুতে পিছিয়ে পড়া দল।
২০২২–২৩ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে ৩০৪টি গোল হয়েছে, ম্যাচ প্রতি ৩.১৭টি। যা ২০২১–২২ মৌসুমের চেয়ে সাতটি বেশি।