বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব অনেকটা ভাগ্যের ছোঁয়া নিয়েই পার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়া খেলবে—বিশ্বকাপের আগে এই কথার পক্ষে বাজি ধরার লোক খুব বেশি ছিল না। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে গ্রাহাম আরনল্ডের দল।
অস্ট্রেলিয়া ছন্দে থাকলেও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তারা আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নামবে। যদিও অস্ট্রেলিয়া কোচ গ্রাহাম আরনল্ডের কথা শুনে বোঝার উপায় নেই, কারা আন্ডারডগ। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার এই কোচ আর্জেন্টিনাকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন! শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হওয়ার পরই নিজের দেশের এক টিভি চ্যানেলে ঘোষণা দিয়েছেন, এই ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেবে তাঁর দল।
গ্রাহাম আরনল্ডের এই আত্মবিশ্বাসের উৎস কী? অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে খেলা মানেই লড়াই। খেলা মানেই যুদ্ধ। এই মনোভাব তো আছে অবশ্যই। পাশাপাশি অতীতের দুটি ইতিহাসও সম্ভবত আরনল্ডকে সাহস জোগাচ্ছে।
প্রথমত, ফুটবলার হিসেবে আর্জেন্টিনাকে হারানোর স্বাদ পেয়েছেন আরনল্ড। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ছয় ম্যাচে একবারই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮৮ সালে দুই দলের মধ্যে প্রথম ম্যাচেই। বাইসেন্টেনারি গোল্ড কাপের সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। সেই ম্যাচে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই কোচ।
এ ছাড়া মেসিকেও আটকে রাখার অতীত অভিজ্ঞতা আছে গ্রাহাম আরনল্ডের। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া-আর্জেন্টিনা প্রীতি ম্যাচে ও ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে আরনল্ডের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গোল পাননি মেসি।
অস্ট্রেলিয়া ও আর্জেন্টিনা সর্বশেষ মুখোমুখি হয় ২০০৭ সালে। মেলবোর্নের সে ম্যাচে ১-০ গোলে জয় পেয়েছিলেন মেসিরা। তবে সে ম্যাচে গোল করতে পারেননি এই খুদে জাদুকর। তবে তাঁর নেওয়া ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে গোল আদায় করেন মার্তিন দেমিচেলিস।
মেসি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচ খেলেন এক বছর পর, বেইজিং অলিম্পিকে। অলিম্পিক ফুটবলের সেই ম্যাচেও ১-০ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন এজেকিয়েল লাভেজ্জি।