এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না মেসির

১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তুলেছিলেনরয়টার্স

ঠিক এক মাস পর আবারও কাতারের মাটিতে লিওনেল মেসি।

গত মাসের ১৮ ডিসেম্বর কাতারের মাটিতে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তুলেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেদিন ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তিন যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছিল আর্জেন্টিনা। আরাধ্যের ট্রফি হাতে নেওয়া সেই কাতারে শিরোপা উদ্‌যাপন করতে যাননি মেসি।

গিয়েছেন কাতারের মালিকানাধীন ক্লাবের হয়ে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে। আগামীকাল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নেতৃত্বাধীন অলস্টারের বিপক্ষে খেলবে মেসির পিএসজি। রিয়াদে যাওয়ার আগে এক দিনের বিশ্রাম কাতারের দোহায়।

উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও দোহায় নেমেই হয়তো স্মৃতিকাতরতা পেয়ে বসেছে মেসিকে। আর সেটি যদি না–ও হয়ে থাকে, ‘বিশ্বকাপ জয়ের এক মাসপূর্তি’ই আবেগাপ্লুত করে তোলার জন্য যথেষ্ট। সেই আবেগে ভেসে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিখেছেন, মাস পার হয়ে গেলেও এখনো তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না।

সৌদি যাওয়ার আগে কাতারের দোহায় যাত্রাবিরতি করেছেন মেসিরা
ছবি: পিএসজি

বিশ্বকাপ জয়ের মাসপূর্তিতে লেখা বার্তার সঙ্গে একটি ভিডিও জুড়ে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। যেখানে ফাইনালে আর্জেন্টিনার তিন গোল, ম্যাচের শেষ দিকে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের অবিশ্বাস্য সেভ এবং টাইব্রেকারের শেষ শটের মুহূর্ত থেকে শুরু করে বুয়েনস এইরেসে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধিত হওয়ার দৃশ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

মেসির বার্তায় যা লেখা আছে

‘জীবনের সবচেয়ে সুন্দরতম মাসগুলোর একটি পার করলাম। আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। যে বিশ্বকাপটা আমরা খুব করে চেয়েছিলাম, সেটি হাতে তোলার পর কী চমৎকার সব সময়ই না কেটেছে। এটি ঠিক, চ্যাম্পিয়ন হওয়াতেই সবকিছু সুন্দর লাগছে। তবে এর আগেও কী দারুণ একটি মাসই না কাটিয়েছি। কত সব চমৎকার স্মৃতি জমা হয়েছে। সতীর্থদের সঙ্গে কাটানো দিনগুলো, একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, কথা বলা, ট্রেনিং সেশন, যা কিছু উল্টাপাল্টা, সবই মিস করছি ...।

‘সবার কারণে আমার পরিবার প্রতিটি দিন যে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা উপভোগ করেছে, সেটিও কী দারুণ ব্যাপার ছিল। ম্যাচ খেলতে নামা, মাঠে এবং আর্জেন্টিনায় মানুষের উন্মাদনা দেখতে পারাটাও কত চমৎকারই না ছিল।

‘স্রষ্টাকে ধন্যবাদ। আমি বলেছিলাম, জানতাম তিনি আমাকে ট্রফিটা দেবেন। তবে অর্জনের পরের সময়টা কেমন হবে, সেটা আমি কল্পনা করতে পারিনি। আমি ভুল ছিলাম না। কারণ, জয়োৎসবে মানুষের এত উন্মাদনা আমি কখনোই কল্পনা করিনি।
‘এক মাস পেরিয়ে গেছে, আমরা ... বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!’