ভালভের্দের চোখ জুড়ানো গোল

গোলের পর ফেদে ভালভের্দেছবি: উয়েফা

ফেদে ভালভের্দে কার্লো আনচেলত্তির পছন্দের খেলোয়াড়। গত দলবদলের মৌসুমে তাঁর প্রতি আগ্রহের খবর এসেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে। কিন্তু রিয়াল থেকে সাফ বলে দেওয়া হয়, ভালভের্দে 'আনটাচেবল', অর্থাৎ তাঁকে কেনা তো দূরের কথা, ছোঁয়াও যাবে না!

কেন রিয়াল তাঁকে আগলে রেখেছে, অতীতে নিজের খেলা দিয়ে তা বহুবার বুঝিয়েছেন উরুগুয়ে তারকা। লাইপজিগের বিপক্ষেও তেমন কিছুই দেখা গেল। ৮০ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন এই রাইট উইঙ্গার, তারপর মার্কো আসেনসিও-ও গোল করায় ২-০ ব্যবধানের জয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল।

গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে আসেনসিও
ছবি: উয়েফা

ভালভের্দের গোলের আগ পর্যন্ত মোটেও ভালো খেলতে পারেনি রিয়াল। এগিয়ে যাওয়ার আগে লাইপজিগের গোলপোস্টে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে। বাঁ প্রান্ত থেকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান প্রান্তে দ্রুতলয়ে বড় পাস দেন ভিনিসিয়ুস। রদ্রিগোর ডামির পর বল পান ফাঁকায় দাঁড়ানো ভালভের্দে। প্রথম টাচে বলটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, পরের টাচে লাইপজিগ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোল করেন।

ইউরোপসেরার এই টুর্নামেন্টে রিয়ালে উরুগুয়ের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গোল করলেন ভালভের্দে।

ম্যাচের শুরুতে লাইপজিগ ফরোয়ার্ড ক্রিস্টোফার এনকুকু পরীক্ষা নেন রিয়ালের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার। তাঁর শট সফলতার সঙ্গেই ঠেকান বেলজিয়ান তারকা। প্রথমার্ধের আগে পেনাল্টিও পেতে পারত রিয়াল। লাইপজিগ ডিফেন্ডার জাভের শালজের বক্সে ফেলে দেন লুকা মদরিচকে।

রেফারি পেনাল্টির বাঁশি না বাজিয়ে খেলা চালিয়ে যান। ১৯৬৫ সালে ফেরেঙ্ক পুসকাসের (৩৮ বছর) পর রিয়ালের সবচেয়ে বেশি বয়সী আউটফিল্ড খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচটি খেলেন মদরিচ (৩৭ বছর)।

যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রিয়ালকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন আসেনসিও। ফ্রি কিক থেকে পাস বাড়ান টনি ক্রুস। আসেনসিও বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে 'এফ' গ্রুপের শীর্ষে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শাখতার দোনেৎস্ক। এই গ্রুপ থেকে সেল্টিক-শাখতার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ২ ম্যাচে শুন্য পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে লাইপজিগ।