হলান্ড এখন মেসি–রোনালদোর পর্যায়ে

ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আর্লিং হলান্ডএএফপি

তাঁরা এখনো অবসর নেননি। খেলে যাচ্ছেন, বয়সের ভারে সেরা সময়টা ফেলে এসেছেন পেছনে। কিন্তু শীর্ষ পর্যায় বিচারের মানদণ্ডে তাঁরা এখনো অনেকের কাছেই রেফারেন্স পয়েন্ট। যেমন ধরুন পেপ গার্দিওলা। গোল করায় উন্নতি করতে করতে আর্লিং হলান্ড এখন কোন পর্যায়ে আছেন, তা বোঝাতে দুই কিংবদন্তিকে টেনেছেন ম্যানচেস্টার সিটির এই কোচ। গার্দিওলা মনে করেন, হলান্ড এ মুহূর্তে মেসি ও রোনালদোর পর্যায়ে আছেন।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গতকাল রাতে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৩-১ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেন হলান্ড। এবারের মৌসুমে ১০ ম্যাচে তাঁর গোল ১৩টি, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার চেয়ে ৭ বেশি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ১৭।

২০২২ সালে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ইংল্যান্ডে একের পর এক রেকর্ড গড়ে যাচ্ছেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১০৭ ম্যাচ, গোল করেছেন ৯৮টি। দ্রুততম ১০০ গোলের রেকর্ডটি এখন অ্যালান শিয়ারারের, যিনি করেছিলেন ১২৪ ম্যাচে। হলান্ডের সামনে সুযোগ আছে সেটি ভাঙার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটিতে তাঁর গোলসংখ্যা ১৫৯ ম্যাচে ১৪১!

এ মৌসুমে সিটির গোল করার ভার যেন পুরোপুরি হলান্ডের কাঁধেই। দলের হয়ে একাধিক গোল করতে পেরেছেন কেবল তিনজন—রায়ান চেরকি, জেরেমি ডকু ও ফিল ফোডেন। তাঁদের গোল ২টি করে। অর্থাৎ সিটির ৩১ গোলের ১৭টিই করেছেন হলান্ড।

আরও পড়ুন

এই আধিপত্যের কারণেই গার্দিওলা হলান্ডকে তুলেছেন মেসি-রোনালদোর পর্যায়ে। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আর্লিং পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। যেমন মেসি-রোনালদো খেললে হয়, তেমনই একটা অনুভূতি। প্রভাবটা গভীর। সে কি ওদের পর্যায়ে? পরিসংখ্যান দেখেছেন? ওহ মাই গড, অবশ্যই মেসি-রোনালদোর সমান মানে আছে সে।’

গার্দিওলা আরও যোগ করেন, ‘মেসি ও রোনালদোর বিশেষত্ব হলো, ওরা ১৫ বছর ধরে একই মান ধরে রেখেছে। এখনো দেখুন, মেসি এমএলএসে প্রায় প্রতিদিন গোল করছে। রোনালদোও সৌদিতে ঠিক সে রকম। আর্লিংও সেই মানে আছে। তাকে ছাড়া কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যেত।’

প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি।

শেষে গার্দিওলা বলেন, হলান্ডের সাফল্যের রহস্য তার মনোভাবেই, ‘গোলের প্রতি ওর ক্ষুধা, শেখার ইচ্ছা—সবই অসাধারণ। যেভাবে ও শট নেয়, বলটা মাটির ঘাস ছুঁয়ে যায়, যেন বলে ওঠে, “আমি গোল হব।” ওকে কোচিং করানো সহজ। যদিও মাঝেমধ্যে একটু কঠোর হতেও হয়।’

আরও পড়ুন