বিদেশি ফুটবলার কমানোর দাবিতে সালাউদ্দিনের ‘না’
ঘরোয়া ফুটবলে বিদেশি খেলোয়াড় কোটা কমাতে ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির দাবি নাকচ করে দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি বরং জানিয়ে দিয়েছেন, এখন যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। উল্টো ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন একটি বাড়তে পারে।
ঘরোয়া ফুটবলে এখন ক্লাবগুলো বিদেশি ফুটবলার নিবন্ধন করতে পারে সর্বোচ্চ পাঁচজন। এক ম্যাচে খেলতে পারেন চারজন। তবে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ বা এএফসি কাপে বিদেশি নিবন্ধন উন্মুক্ত, খেলতে পারেন সর্বোচ্চ ছয়জন। এএফসি কাপের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ঘরোয়া ফুটবলে ছয়জন বিদেশি নিবন্ধনের দাবি জানিয়ে বাফুফেকে চিঠি দিয়েছিল। এই চিঠির পর জেগে উঠেছে প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি। তারা মনে করে ছয়জন বিদেশি ফুটবলার খেললে দেশিরা আরও বেশি বঞ্চিত হবেন।
সমিতির ব্যানারে কয়েকজন সাবেক ফুটবলার আজ বাফুফে ভবনে গিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে সাবেক ফুটবলাররা বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন কমিয়ে চারজন চেয়েছেন। তাঁদের দাবি, এক ম্যাচে যেন সর্বোচ্চ তিনজন বিদেশি একাদশে থাকতে পারেন।
সাবেক ফুটবলারদের এই দাবি অবশ্য মানেননি বাফুফে সভাপতি। বিদেশি কোটা কমানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন সালাউদ্দিন। এ প্রসঙ্গে বাফুফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সভাপতি বলেছেন, বর্তমানে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। নিবন্ধন পাঁচজন আছে, সেটাই বহাল থাকবে। এক ম্যাচে চারজন খেলবেন।’
নিবন্ধিত বিদেশি ফুটবলার বাড়িয়ে ছয়জন করা হবে কি না, সেটা সিদ্ধান্ত হবে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটিতে। যত দূর জানা গেছে, ছয় বিদেশি নিবন্ধনের অনুমোদন বাফুফে দিতেও পারে।
খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির ব্যানারে বাফুফেতে যাওয়া জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফুটবল অঙ্গনে অনেকেই বলছেন, ছয়জন বিদেশি নিবন্ধন হবে এবং ছয়জনই খেলবে। তাতে দেশিদের সুযোগ আরও কমবে। তবে সভাপতি আমাদের বুঝিয়ে বলেছেন, ছয়জন নিবন্ধনের সুযোগ যদি দেওয়াও হয়, খেলবে আগের মতো চারজনই। বিদেশির বদলি বিদেশি নামতে পারবে শুনেছি আমরা, সভাপতি এটাও নাকচ করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। বিদেশির বদলি বিদেশি হবে না। তাঁর কথায় আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি।’
সমিতির সভাপতি সাবেক ফুটবলার ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে বাফুফে ভবনে গিয়েছেন গোলাম গাউস, ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব, মাসুদ রানা, বিপ্লব ভট্টাচার্য, শহিদ হোসেন স্বপন, জাহিদ হোসেনসহ আরও কয়েকজন সাবেক ফুটবলার।