তুরস্কে জুয়ায় জড়িয়ে রেফারি ও ক্লাব মালিক আটক, নিষিদ্ধ ১,০২৪ ফুটবলার

জুয়া–কাণ্ডে টালমাটাল হয়ে পড়েছে তুরস্কের ফুটবল। এবার ফুটবল ম্যাচে অবৈধ জুয়াখেলার অভিযোগে ছয় তুর্কি রেফারিকে সাময়িকভাবে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ইস্তাম্বুলের একটি আদালত।  

তুর্কি ফুটবল ফেডারেশনের (টিএফএফ) বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অভিযুক্ত ছয়জনই তৃতীয় ও চতুর্থ বিভাগের সহকারী রেফারি। একই তদন্তের অংশ হিসেবে ম্যাচ ফিক্সিং ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে প্রথম বিভাগের ক্লাব আয়ুপসপোরের সভাপতিকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে গত শুক্রবার থেকে আটক থাকা আরও ১১ রেফারিকে গত সোমবার আদালতের তত্ত্বাবধানে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। টিএফএফ জানিয়েছে, ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগে ১ হাজার ২৪ ফুটবলারকে এরই মধ্যে শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটির সামনে তলব করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ফুটবলারদের সাময়িকভাবে নিষিদ্ধও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এক বিবৃতিতে টিএফএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘১ হাজার ২৪ ফুটবলারকে সতর্কতামূলকভাবে শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটির (পিএফডিকে) কাছে পাঠানোর কারণে ক্লাবগুলো তাদের দলীয় ঘাটতি পূরণের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া নিচ্ছে।

তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ইব্রাহিম হাজিওসমানোগ্লু
এএফপি

এর অংশ হিসেবে ফিফার সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে, যাতে ২০২৫-২৬ শীতকালীন দলবদলের সঙ্গে মিলিয়ে জাতীয় স্তরে অতিরিক্ত ১৫ দিনের দলবদল ও নিবন্ধনের সময় অনুমোদিত হয়।’

তুরস্কের তৃতীয় ও চতুর্থ বিভাগ, যেখানে সন্দেহভাজন খেলোয়াড়দের মধ্যে ৯০০ জনের বেশি খেলেন, দুই সপ্তাহ ধরে এ দুটি স্তরের লিগ স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া প্রথম বিভাগের ২৭ জন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধেও জুয়ায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে, যাঁদের মধ্যে আছেন গালাতাসারায়ের খেলা জাতীয় দলের ফুটবলার ডিফেন্ডার এরেন এলমালিও।

আরও পড়ুন

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে পেশাদার ফুটবল লিগে জুয়া কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল ১৪৯ জন রেফারি ও সহকারী রেফারিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে টিএফএফ। তুরস্কের পেশাদার ফুটবল লিগের ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগ উঠেছিল এসব রেফারি ও সহকারী রেফারির বিরুদ্ধে।