কাতার বিশ্বকাপে কি খেলতে পারবেন পগবা

কাতার বিশ্বকাপে খেলা নাও হতে পারে পল পগবারফাইল ছবি: এএফপি

দিদিয়ের দেশম নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায়। কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের মাঝমাঠ নিয়ে হয়তো এখনই নতুন করে ছক কষতে বসেছেন। পল পগবা চোটে পড়ার আগে দেশমের হিসাব ছিল এক রকম। আর এখন পগবার কাতার বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধে ওঠায় নিশ্চয়ই ‘প্ল্যান বি’ তৈরি করে রাখতে হবে ফ্রান্স জাতীয় দলের এই কোচকে।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয় মৌসুম কাটিয়ে জুভেন্টাসে ফিরেছেন পগবা। ১১ জুলাই চার বছরের চুক্তিতে ইতালিয়ান ক্লাবটিতে ফিরে যান এই ফরাসি মিডফিল্ডার। এরপর লস অ্যাঞ্জেলেসে জুভেন্টাসের অনুশীলনে হাঁটুর চোটে পড়েছেন। শুরুতে চোটটা অত গুরুতর মনে না হলেও পরে জানা গেছে, অনেক দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে পগবাকে।

আরও পড়ুন
জুভেন্টাসের অনুশীলনে আনহেল দি মারিয়ার সঙ্গে পল পগবা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

জুভেন্টাসের হয়ে প্রাক্‌–মৌসুমে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন পগবা। হাঁটুতে চোট পাওয়ার পর খোঁড়াতে খোঁড়াতে ছেড়েছেন অনুশীলনের মাঠ। তখন চোট অতটা গুরুতর মনে হয়নি। হাঁটুর মেনিসকাসে চোট পেয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এই তারকা। জুভেন্টাসের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডান হাঁটুতে ব্যথার কথা জানানোর পর পগবার রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে মেনিসকাসে আঘাত পেয়েছেন তিনি। আগামী কয়েক ঘণ্টা তাঁকে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে। চিকিৎসাও চালিয়ে যাওয়া হবে। ডালাস সফরে তাঁকে নেওয়া হবে না।’

এখন প্রশ্ন হলো, পগবাকে কত দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে? প্রথমে জানা গিয়েছিল, সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। তখন ভাবা হয়েছিল, ইতালিয়ান সিরি আ–র শুরুটা হয়তো ধরতে পারবেন না পগবা। ফুটবলবিষয়ক সংবাদের ওয়েবসাইট গোলডটকম জানিয়েছে, পগবার চোটের আরও বিশদ পরীক্ষার পর জানা গেছে তাঁকে অস্ত্রোপচারের সম্মুখীন হতে হবে। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত জানিয়েছে, পগবাকে এই চোট থেকে সারিয়ে তুলতে দুটি পথ খোলা আছে।

আরও পড়ুন
জুভেন্টাসের অনুশীলনে পল পগবা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

একটি চিকিৎসাপদ্ধতি হলো, পগবার ডান হাঁটু থেকে মেনিসকাসের (হাঁটুর জয়েন্টের মাঝে তন্তুবিশেষ) একটি অংশ বের করে ফেলতে হবে। এতে পগবাকে দুই মাস নিশ্চিতভাবেই মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এরপর সেরে ওঠার পুনবার্সনপ্রক্রিয়া এবং খেলায় ফেরার জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে এই অস্ত্রোপচারের একটি সমস্যা হলো, এটি মূলত কম বয়সীদের জন্য এবং দ্রুত চলাফেরায় সমস্যা হয়। অর্থাৎ ফুটবলারদের জন্য এই অস্ত্রোপচার তেমন সুবিধাজনক নয়।

আরেকটি চিকিৎসাপদ্ধতি হলো, মেনিসকাসে যেখানে আঘাত পেয়েছেন, সে জায়গাটা সেলাই করে দেওয়া। এই অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগে। কাতারে ২১ নভেম্বর শুরু হবে বিশ্বকাপ। মেইল অনলাইন জানিয়েছে, অস্ত্রোপচারে যেকোনো একটি পদ্ধতি বেছে নেওয়ার আগে ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।

আরও পড়ুন