হলান্ডের ১৮-তে ঘরের মাঠে ম্যান সিটির টানা ১১

ম্যান সিটিকে জয়সূচক গোল এনে দেওয়ার পর হলান্ডের উচ্ছ্বাসছবি: রয়টার্স

ঘরের মাঠে লিগে যেন হারতেই ভুলে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। শেষ মুহূর্তে আর্লিং হলান্ডের গোলে ফুলহামকে ১-০ গোলে হারাল ম্যানচেস্টার সিটি। ফুলহামকে হারিয়ে ইতিহাদে টানা ১১ ম্যাচে জয় পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই ১১ ম্যাচে কতটা দাপুটে ছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি, এই সময়ে তাদের করা গোলের সংখ্যা দেখেই ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এই ১১ ম্যাচে ম্যান সিটি গোল করেছে ৪৫টি। ঘরের মাঠে টানা জয়ের রেকর্ডে ম্যান সিটির আছে দ্বিতীয় স্থানে। এর আগে ইংল্যান্ডের ফুটবলের শীর্ষ লিগে ১৯৩০-৩১ সালে ঘরের মাঠে অ্যাস্টন ভিলা টানা ১৩ ম্যাচ জয় পেয়েছিল।

স্কোয়াডে থাকলেও আর্লিং হলান্ডকে একাদশের বাইরে রাখেন ম্যান সিটি কোচ গার্দিওলা। শুরুর একাদশে আরও একবার সুযোগ পান হুলিয়ান আলভারেজ। হলান্ডের অবর্তমানে গোল করার দায়িত্বটা মূলত ছিল তার কাঁধেই। সে কাজটা ভালোভাবেই করেছেন এই আর্জেন্টাইন। ১৭ মিনিটেই গুনদোয়ানের সহায়তায় সিটিকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেন আলভারেজ।

লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ছেন জোয়াও কানসেলো
ছবি: রয়টার্স

শুরু থেকেই ফুলহামের ডিফেন্ডারদের চাপে রাখেন আলভারেজ-কেভিন ডি ব্রুইনারা। তবে ম্যান সিটির সে দাপটে খানিকটা ছন্দপতন হয় ২৬ মিনিটে কানসেলো লাল কার্ড দেখলে। পেনাল্টি থেকে ফুলহামকে সমতায় ফেরানো গোল করেন আন্দ্রেস পেরেইরা। কানসেলোর লাল কার্ডে ১০ জনের দলে হয়ে যায় ম্যান সিটি। সে সুযোগটা যদিও নিতে পারেনি ফুলহাম। ১০ জন নিয়েই ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে রাখে সিটি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।

দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যানসিটির কাছেই থাকে বলের নিয়ন্ত্রণ। তবে পর্যাপ্ত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তারা। ৬৪ মিনিটে তাই দুটি পরিবর্তন করেন গার্দিওলা। আলভারেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন হলান্ড। জ্যাক গ্রিলিশের জায়গায় ফিল ফোডেন। নেমেই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন হলান্ড, যদিও অফসাইডে সে গোল বাতিল হয়।

অফসাইডের কারণে গোল বাতিলের পর হতাশ হলান্ড
ছবি: রয়টার্স

হলান্ড ও ফোডেনে আক্রমণের গতি বাড়ে সিটির। একের পর এক আক্রমণ করলেও অবশ্য গোল আসছিল না। অবশেষে গোল আসে পেনাল্টি থেকে। ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থকে সিটির জয়সূচক গোলটি করেন হলান্ডই। লিগে এটি তাঁর ১৮তম গোল।