ভিনিসিয়ুসের প্রেমিকা কে এই ভার্জিনিয়া ফনসেকা
নানা নাটকীয় ঘটনার পর এবার প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর ঘোষণা দিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ভার্জিনিয়া ফনসেকা। রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস গত মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ার সঙ্গে কয়েকটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন। ছবিগুলোতে দেখা যায়, গোলাপের পাপড়ি দিয়ে একটি বিছানা সাজানো হয়েছে। যেখানে ভিনিসিয়ুসের নামের আদ্যক্ষর ‘ভি’ আকৃতির পাশাপাশি হৃদয়ের প্রতীকও বানানো হয়। সেই সাজানো বিছানার পাশে অন্তরঙ্গ অবস্থায় সেলফি তুলছেন ভিনি ও ভার্জিনিয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্কের ঘোষণা দেওয়ার আগে দুজন শেষ কয়েক দিন কাটিয়েছেন মোনাকোতে।
গত মাসের শুরুতে ভিনিসিয়ুস ও ভার্জিনিয়া একসঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছিলেন মাদ্রিদে। ভার্জিনিয়াকে গত মাসে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ম্যাচেও গ্যালারিতে দেখা গেছে। তবে তারপর তাঁদের সম্পর্ক কিছুদিনের জন্য ভেঙে গিয়েছিল। কারণ, তখন ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে ডে মাগালায়েস নামের অন্য এক নারীর ফোনে মেসেজ আদান–প্রদান ফাঁস হয়ে যায়।
মাগালায়েসের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ ফাঁসের কিছুক্ষণ পর ভিনিসিয়ুস বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি পোস্ট দেন। ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভিনি লেখেন, ‘আমি এমন এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, যা আমাকে নিজেকে দেখতে বাধ্য করেছে এবং বুঝতে সাহায্য করেছে যে আমি যেমন ব্যক্তিত্বের মানুষ হতে চাই, নিজের কিছু আচরণে তার প্রতিফলন নেই। ভার্জিনিয়া অসাধারণ নারী, একজন দারুণ মা এবং যার প্রতি আমার গভীর স্নেহ ও শ্রদ্ধা রয়েছে।’
ভিনির এই পোস্টের পর ভার্জিনিয়া ব্রাজিলিয়ান তারকাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং মাদ্রিদে যান। এখন তিনি ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে মাদ্রিদেই আছেন। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।
ভিনিসিয়ুস ও ভার্জিনিয়ার প্রেমের খবর সামনে আসার পর তাঁদের নিয়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’তে ভিনিসিয়ুস ও ভার্জিনিয়ার পুনর্মিলন নিয়ে শিরোনাম, ‘বিতর্কিত অবিশ্বস্ততার পর পুনর্মিলন।’
সংবাদমাধ্যমটি ভিনিসিয়ুসের প্রকাশ্য ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে ভার্জিনিয়াকে তুলে ধরা হয়েছে সেই নারী হিসেবে, যাঁর কাছে স্পেনের সবচেয়ে আলোচিত ফুটবল তারকাদের একজন ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
এবিসির বিশ্লেষণে ভার্জিনিয়া ফনসেকাকে দেখানো হয়েছে সম্পর্কের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে। তাদের মতে, এই সম্পর্ক টিকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত মূলত ভার্জিনিয়ার হাতেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ভিনিসিয়ুসকে ক্ষমা করেছেন, তবে সেই ক্ষমা ও সিদ্ধান্ত ভিনিসিয়ুসের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির ওপরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য থাকলেও প্রায় সব কটি সংবাদমাধ্যম এ সম্পর্কের লাগাম ভার্জিনিয়ার হাতে বলেই মন্তব্য করেছে।
২৬ বছর বয়সী ভার্জিনিয়া একজন ব্রাজিলিয়ান-আমেরিকান ইনফ্লুয়েন্সার। তিনি ব্রাজিলে খুবই জনপ্রিয়। তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে ৫৩ মিলিয়ন ও টিকটকে ৪০ মিলিয়ন অনুসারী রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে জন্ম হলেও ব্রাজিলে বড় হয়েছেন ভার্জিনিয়া। তিনি ১৭ বছর বয়সে ইউটিউবে তারকা হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেন। কয়েক বছর পরে তিনি নিজের টিভি শো নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম টিভি চ্যানেল এসবিটিতে হাজির হন।
ভিনিসিয়ুসের আগে ভার্জিনিয়া গায়ক জে ফেলিপের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা বিয়েও করেছিলেন। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে—মারিয়া অ্যালিস, মারিয়া ফ্লোর ও জোসে লিওনার্দো। এ বছরের শুরুতে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিচ্ছেদ ঘটে দুজনের। এরপরই ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়তে থাকে ভার্জিনিয়ার, যার পরিণতিতে সম্পর্কে জড়িয়েছেন দুজন।