যে কারণে এমন সাফল্য পাচ্ছে বার্সেলোনা
লা লিগার শিরোপাটা তাহলে পুনরুদ্ধার করেই ফেলল বার্সেলোনা! ২৭ ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে থাকার পর এমনটা প্রত্যাশা করতেই পারেন বার্সার সমর্থকেরা। নাটকীয় কিছু না ঘটলে লিগ শিরোপাটা এখন কাতালান ক্লাবটির হাতের নাগালেই আছে। শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে গত রাতে এলচেকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জাভির দল।
রবার্ট লেভানডফস্কি করেছেন জোড়া গোল, আর একটি করে গোল করেছেন আনসু ফাতি ও ফেরান তোরেস। দারুণ এ জয়ের পর দলের ভালো খেলার রহস্য উন্মোচন করেছেন জাভি। বলেছেন, খেলোয়াড়দের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতার কথাও।
বার্সার এ মুহূর্তের সাফল্যের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এরিক গার্সিয়াকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানো। এই পজিশনে খেলে দলের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখছেন গার্সিয়া। যদিও এটি তাঁর নিয়মিত পজিশন নয়। তাঁর আসল পজিশন হচ্ছে সেন্টার-ব্যাক। সেখান থেকে সরিয়ে এখন তাঁকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলাচ্ছেন জাভি।
এলচের বিপক্ষে জয়ের পর জাভি অবশ্য বলেছেন, গার্সিয়ার পজিশন পরিবর্তনের ধারণাটা তাঁর নয়। এই ভাবনা এসেছে মূলত দলের উপদেষ্টা জর্দি ক্রুইফের কাছ থেকে। ম্যাচ শেষে জাভি বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, এরিকের পজিশন বদলানোর ধারণাটি এসেছে মূলত জর্দি ক্রুইফের কাছ থেকে। সে আমাকে গত বছর বলেছিল। আমরা এটা নিয়ে ভাবি, আলাপ করি। সে দারুণ একটি ম্যাচ খেলেছে। আমি মনে করি ওর মধ্য দিয়ে আমরা দারুণ একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পেলাম।’
বার্সার এই জয়ে চারটি গোলই এসেছে ফরোয়ার্ডদের কাছ থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে বার্সার ফরোয়ার্ডরা নিয়মিত গোল পাচ্ছেন। ফরোয়ার্ডদের এমন পারফরম্যান্সও বার্সার ঘুরে দাঁড়ানোর কারণ মনে করেন জাভি, ‘ফরোয়ার্ডদের গোল করা সব সময় আত্মবিশ্বাস দেয়। আজকে কাজটি দারুণভাবে হলো। আনসু দারুণ কাজ করেছে। এটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আনসু এবং ফেরানকে নিয়ে খুব খুশি। যাদের গোল প্রাপ্য তারা গোল করেছে।’
দলের সাফল্যের পেছনে খেলোয়াড়দের বৈচিত্র্যময়তা এবং মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতাকেও কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন জাভি, ‘সের্হিও (বুসকেতস) একজন বিশেষ খেলোয়াড়। এরিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। ফ্রেঙ্কি চাইলে সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলতে পারে। এমন বৈচিত্র্যময় খেলোয়াড় থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।’