গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও যে বড় ব্যবধানে জেতা যায়, তারই প্রমাণ দিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। ইস্পাহানি-প্রথম আলো তৃতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের ঢাকা অঞ্চলের তৃতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে আজ সকালে শুরুতে পিছিয়েও আইইউবিএটি ৪-১ গোলে হারিয়েছে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে।
এই জয়ে নকআউটভিত্তিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকল আইইউবিএটি। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে অতীশ দীপঙ্কর।
সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মাঠে ১১ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে এগিয়ে যায় অতীশ দীপঙ্কর। স্ট্রাইকার শুভ দে কর্নার পতাকার কাছাকাছি জায়গায় এসে কঠিন কোণ থেকে গোলমুখে ক্রস করেন। সেই বল গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে ঢুকে যায় জালে।
পিছিয়ে পড়ে আইইউবিএটি আক্রমণের গতি আরও বাড়ায়। আইইউবিএটির হয়ে খেলেন তিন বিদেশি শিক্ষার্থী, দুজন নাইজেরিয়ার একজন দক্ষিণ কোরিয়ার। তিনজনই নজরকাড়া ফুটবল খেলেছেন।
বিশেষ করে নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড ওমর ওয়াজিরি মনসুর একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখেন অতীশ দীপঙ্করের রক্ষণভাগকে। কিন্তু তাঁর দল গোল পাচ্ছিল না কিছুতেই। সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান অতীশ দীপঙ্করের গোলকিপার আরাফাত হোসাইন। কিন্তু শেষ রক্ষা তিনি করতে পারেননি।
৪৯ মিনিটে ওমর ওয়াজিরি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দুরন্ত এক শটে স্কোরলাইন করেন ১-১। ম্যাচের মোড় তখনই ঘুরে যায়। অতীশ দীপঙ্কর ম্যাচে আর দাঁড়াতে পারেনি। মিনিট তিনেক পরই পেনাল্টিতে ২-১ করেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড নাসির হুসাইনি। তৃতীয় গোল করেন ওমর, শেষ গোল মিরাজ আহমেদের।
জোড়া গোল করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ওমর ওয়াজিরি। বিবিএ পড়ুয়া ১৯ বছর বয়সী ওমর পুরস্কার নিয়ে চোখ রাখলেন সামনে, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য এখন পরের ম্যাচ জিতে গ্রুপ ফাইনালে ওঠা। তারপর আমরা টুর্নামেন্টের ফাইনাল পর্যন্ত যেতে চাই। এমনকি চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও আশা আছে আমাদের।’
ওমরের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন আইইউবিএটির কোচ ও সাবেক জাতীয় অ্যাথলেট খুরশিদা আক্তার খুশি।
গতকালও দিনের প্রথম ম্যাচে এশিয়া প্যাসিফিকের বিপক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৮-০ গোলের জয়ে একাই ৫ গোল করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান নাইজেরিয়ার শিক্ষার্থী আবু বক্কর। পর পর দুদিনে নিজেদের চেনালেন দুজন নাইজেরিয়ার শিক্ষার্থী। তাঁদের ফুটবল–দক্ষতা যে সহজাত, তা আবারও দেখা গেল।